এস.এম আকরাম হোসেন :
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মানিকগঞ্জের কৃতি সন্তান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পিতা মরহুম কর্ণেল (অব:) এ মালেকের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে স্মরনসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন।
স্মরনসভায় কর্নেল মালেকের জীবনাদর্শ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বাবুল মিয়া, সিভিল সার্জন ডা: মো : আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: আবদুল আওয়াল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড: আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ন সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ ডায়োবেটিক হাসপাতালের সাধারন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল প্রমুখ। এসময় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারন সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, যুগ্ন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মিহিরসহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নার্সিং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মানিকগঞ্জ আড়াইশ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মরনসভায় মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা: মো: আনিসুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস অন্তরা ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অলি আহমেদ মানপত্র পড়ে শোনান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা: আহছানুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, কর্ণেল মালেক ছিলেন উন্নত চরিত্রের অধিকারী। তিনি সবর্দা মানুষের কল্যানে, মানুষের সেবায় কাজ করেছেন।তাই মানুষ তাকে মনে রেখেছে। এখন তার নামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে। আগামী এক বছরের মধ্যেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজ শেষ হবে।এতে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছে যাবে। মানুষকে আর উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জের বাইরে যেতে হবে না। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ইবাদাত হল মানুষের সেবা করা। তাই মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা যেন সেবার ব্রত নিয়ে শিক্ষা গ্রহন করে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে যেন মানুষের সেবায় কাজ করে।