স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে ইয়াবা সুন্দরী সাইদা সুলতানা মনি ওরফে লুৎফাসহ দুই সহযোগীকে শহরের দক্ষিন সেওতা নিজ বাড়ী থেকে আটক করেছে পুলিশ। এসয়য় তল্লাসি করে তাদের কাছ থেকে ৩০০ পিচ ইয়াবা ও চার গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সাইদা দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসাসহ অনৈতিক কাজ করে আসছিল। তার গ্রেপ্তারে স্থানীয় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
গত শনিবার সকালে জহুরা ভীলা, ৪১/১ ক্যাপ্টেন হালিম চৌধূরী সড়ক, দক্ষিন সেওতা, মানিকগঞ্জ নিবাসী সাইদা সুলতানা মনি ওরফে লুৎফা তার নিজ বাসভবনে ৩০০ পিস ইয়াবা ও চার গ্রাম অবৈধ হেরোইন সহ তার পিতা কেএম আবু সাইদ(আরজু) এবং তার মাতা রেহেনা পারভীন সহ সাইদা সুলতানা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এর দক্ষ টিম কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। পুলিশ কতর্ৃৃক মামলার এজাহারে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে নারী কনষ্টেবল এবং এলাকার স্থানীয় সাক্ষীসহ সাইদা সুলতানাদের বাসায় তল্লাশী চালালে তার পিতা কে এম আবু সাইদ এর পরিহিত লুংিগর কোচরার ভেতর থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, সাইদার দেখানো মতে তার শয়ন কক্ষের বিছানার নীচ থেকে এবং তার ড্রেসিং টেবিল এর ড্রয়ার এর থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং চার গ্রাম অবৈধ হেরোইন, তার মাতা রেহেনা পারভীন এর দেখানো মতে তার হেফাজতে থাকা তার শয়ন কক্ষের গোপন জায়গা হতে ১০০ পিস অবৈধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে জানা যায়, সাইদা সুলতানা এবং তার পরিবার সুদীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছিল। তাদের মাদক এর নীল ছোবলে দক্ষিন সেওতা সহ মানিকগঞ্জ এর যত্রতত্র একাংশ যুবক সম্প্রদায় আজ ধ্বংসের পথে। এদিকে সাইদা সুলতানা ও তার পরিবার সম্পর্কে অত্র ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে তার ও তার পরিবার সম্পর্কে চানচল্যকর তথ্যাদী পাওয়া গেছে। সাইদা সুলতানা পূর্বে ২টি বিয়ে করে তালাক প্রাপ্ত হবার পর বিভিন্ন জনের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাৎ করে পুনরায় অপর কারো সাথে বিবাহ বর্হিভ’ত সর্ম্পর্কে লিপ্ত হবার অভিযোগ পাওয়া যায় এবং অনুসন্ধানে তার সত্যতাও পাওয়া যায়। সাইদা মনি একের পর এক পুরুষের সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করে অবাধ, অবৈধ যৌনাচারের মাধ্যমে অর্থ প্রতারনার সাথে জড়িত। অত্র প্রতিবেদক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে তার বিবাহ বহিভর্’ত বহু সম্পর্কের অশ্লিল যৌনাচারের অডিও কল রেকর্ড এবং ইমোতে সে কিভাবে ঊত্তেজক নিজ শরীর প্রদর্শন করে প্রতারনার ফাদ পাতে সে সম্পর্কে জানতে পারেন। সাইদা সুলতানা মানিকগঞ্জ ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট অপেনিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিল। বছরখানেক আগে যেখান থেকে শৃংখলা জনিত কারণে তিনি চাকুরীচ্যুত। ডাচ বাংলা ব্যাংকে মার্কেটিং চাকুরীর সুবাদে সে মানিকগঞ্জ এর বিভিন্ন উচু পর্যায়ের লোক, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, নেতা এমন ক্ষমতাশীল লোকদের সাথে অবৈধ অন্তরংগ সম্পর্ক গড়ে তাদের থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ে অভ্যস্ত এবং পরবর্তীতে যে কোন অসুবিধায় তাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো। তার পিতা মাতার ছত্রছায়ায় এমন অবৈধ কার্যকলাপ পরিচালিত হতো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। সাইদা সুলতানার নামে পূর্বে ১৩৮ ধারায় ১টি চেক জালিয়াতী মামলা এবং ৫০৬ ধারায় একটি মামলা বিদ্যামান আছে। সাইদা সুলতানা নিজে একজন প্রখ্যাত মাদকসেবী। তার পিতা অবৈধ ব্যবসার কারণে ২০১৪ সালে র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার পিতার নিদিষ্ট কোন পেশা না থাকা সত্ত্বেও, মাত্র ২ বছর আগে যিনি কয়েকটি টিনের ছাপড়া ঘরে বসবাস করতেন এবং একটি লন্ড্রির দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি আজ অবৈধ ব্যবসার রমরমা টাকায় ৪৫০০ স্বয়ারফিটের বিলাসবহুল দ্বিতল ভবন এর মালিক যার নির্মন ব্যায় ২ কোটি টাকার উপরে এবং তার পুবালী ব্যাংক হিসাবে বিপুল অবৈধ টাকা সঞ্চিত আছে। সে বিলাশবহুল জীবন যাপন করে। সাইদা সুলতানার বোন সানজিদা সুলতানা মুক্তার প্রথম বিয়ে হয় কুখ্যাত মাদক স¤্রাট অস্ত্র মামলা এবং তিন তিনটি মাদক মামলার আসামী নুর ইসলামের সাথে। পরবর্তীতে বিভিন্নজনের সাথে প্রেম ও লিভটুগেদারে লিপ্ত থেকে ২০১৯ সালে আরিফ নামক ব্যাক্তিকে ২য় বিয়ে করে। ২য় বিয়ের পর মুক্তা পুনরায় নুরইসলামের সাথে অবৈধ পরকীয়ায় লিপ্ত ছিল বলে এই প্রতিবেদক তথ্য প্রমান পেয়েছেন। তার দাদীও একাধিক বিয়ে এবং বিয়ে বহিভর্’ত সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। সাইদার পরলোকগত একমাত্র কাকা হেরোইনসেবী ছিল, হেরোইন সেবনের জন্য তার অকাল মৃত্যু হয়েছে। অবৈধ ব্যবসা তাদের পারিবারিক ব্যবসা তাই এলাকা বাসি তাদের গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।#