বিশেষ প্রতিনিধি:
বুধবার দুপুরে টেলিভিশনে ছেলে হত্যায় জড়িতদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কথা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এক মা। তবে এই কান্না স্বস্তির, এই কান্না দীর্ঘ অপেক্ষার।
বলছি আলোচিত হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিমের মায়ের কথা। মানিকগঞ্জের বাড়িতে বসে রবিউল করিমের মা করিমুন নেছা রায়ের বিষয়ে শোক প্রকাশ করেন।
কমিমুন নেছা বলেন, ‘আমি তো আর আমার সন্তানকে ফিরে পাবো না। দীর্ঘ তিনটি বছর এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে যে রায় হলো এতে আমি সন্তুষ্ট। আমি চাই এই রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। কারণ এই সন্তানই ছিল আমার একমাত্র মাথার ছায়া। তাকে হত্যা করার পর আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও পুলিশ প্রশাসনকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কারন আমাদের বিপদের সময় তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।এছাড়া রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রবিউল ইসলামের স্ত্রী উম্মে সালমা।
বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছিলাম, সেটি পেয়েছি। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শান্তি হয়েছে। শান্তি ঘোষনা দিয়েই যদি বিচার শেষ হয়ে যায় তাহলে হবে না। আমরা রায় কার্যকর দেখতে চাই। উচ্চ আদালতের আইনের ফাঁক গলে যেন কোন অপরাধী বের হয়ে যেতে না পারে। দ্রুত মামলাটি নিস্পত্তি করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
বুধবার (২৭নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোদী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো; মজিবুর রহমান। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এই মৃতুদন্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আরেক আসামী মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালের ১ জুলাই নৃংশসতম ওই জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।