মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে সাংবাদিকের সাথে কোচিং শিক্ষকদের অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানাগেছে, গত ৮ই ফেব্রুয়ারী শনিবার “”হরিরামপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে কোচিং বানিজ্য”” এই শিরনামে দৈনিক আমার নিউজ পত্রিকার একটি নিউজ প্রকাশিত হলে, তার ফলোআপ নিউজ করতে সোমবার সকালে পুনরায় সরেজমিনে গিয়ে কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়ে লাঞ্চিত হন দৈনিক আমার নিউজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শুভংকর পোদ্দার।
এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার সহ বিভিন্ন যায়গায় মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনির কোচিং বন্ধের ঘোষণা উপেক্ষা করে কোচিং চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। যার পরিপেক্ষিতে দৈনিক আমার নিউজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সহ হরিরামপুরের কয়েকজন সাংবাদিক তার অনুসন্ধানে নামে, অনুসন্ধানে নেমে ঝিটকা বাজারের কাদের স্যার, সঞ্জয় কর্মকার(সঞ্জয় মাষ্টার) ছাড়া বুধবার থেকে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মো: কাঞ্চন খান,মোঃ আওয়াল হোসেন(আজাদ) ও মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ শামীম খান, মজিবর রহমান।
ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মেহেদী হাসান। জমাত আলী ও মোঃ শুভ, কমল।
গোপীনাথপুর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় নামবিহীন কোচিং পরিচালনা করছেন শাকিল, আপন, ও নীলকমল, কমল রেজাউল করিম, প্রয়াস একাডেমিক কোচিং সেন্টারের মোঃ তারিফুল ইসলাম সহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে কোচিং করাতে চোখে পড়েন। এই নিয়ে বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় একযোগে সংবাদ প্রকাশ হয়। এজন্যই আজ সোমবার সকালে পুনরায় সরেজমিনে গেলে ঝিটকার সব কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মিলে একত্রিত হয়ে সাংবাদিকের উপর চড়াও হন । এবিষয়ে সুশীল সমাজের কয়েকজন ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সাংবাদিক হচ্ছে জাতীর বিবেক এবং শিক্ষক হচ্ছেন জাতীর মেরুদণ্ড সুতরাং শিক্ষকগন সাংবাদিকের সাথে অসদাচরণ করবে এটা কখনোই কাম্য নয়। কেননা শিক্ষকগন যদি ক্যাডার বাহিনীর মতো আচরণ করে তাহলে তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিখবে সুতরাং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এবিষয়ে দৈনিক আমার নিউজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শুভংকর পোদ্দার জানান, আমি কোচিং সেন্টার এর একটি ফলোআপ নিউজ করতে আজ সকালে সরেজমিনে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ক্ষন্ডকালীন শিক্ষক আওয়াল হোসেন (আজাদ), ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চবিদ্যালয় এর খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ মেহেদী হাসান এর কোচিং সেন্টার এর কোচিং ঘুরে এসে প্রদীপ্ত কোচিং সেন্টার এর সামনে গেলে তার পরিচালক মোঃ শুভ আমার সামনে কাউকে কল দিয়ে সেখানে আসতে বলে। তখন আমি তাকে আমি আরো কয়েকটি যায়গায় যাবো জানালে তিনি আমাকে ওখান থেকে ঘুরে আসতে বলে। তারপর আমি সেখান থেকে ঝিটকা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মোঃ কাঞ্চন খানের ওখানে গিয়ে দরজায় খোলা অবস্থায় তালা ঝুলে থাকা অবস্থা দেখি, পড়ে একই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম এর ওখানে গেলে সেও আমাকে দাড় করিয়ে সময় অপচয় করাতে থাকে,এরপর সেখান থেকে বেড়িয়ে গোপীনাথপুর ব্রিজ সংলগ্ন প্রয়াস একাডেমিক কোচিং সেন্টারে ঘুরে আসার সময় ব্যসিক একাডেমিক এর পরিচালক জমাত আলী এর নেতৃত্বে, মোঃ শুভ, মেহেদী হাসান, আউয়াল হোসেন (আজাদ),মোঃ আলামীন, নীলকমল, কমল, শাকিল, আপন সহ অজ্ঞাত আরো ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো এলাকার ছাত্র, যুবককে নিয়ে আমাকে ঘেরাও করেন, এবং নিউজের বিষয়ে বিভিন্ন অরুচি পূর্ন মন্তব্য করতে থাকেন এবং ভবিষ্যতে এরকম সংবাদ প্রকাশ না করতে শাসিয়ে যান। পড়ে এলাকার কয়েকজন এর সহায়তায় আমাকে তারা সেখান থেকে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া এবিষয়ে তিনি থানায় কোন জিডি করেছেন কিনা জানতে চাইলে সে জানান, এবিষয়ে আমি কোন জিডি করিনি তবে এরপরও যদি এর পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে আমি প্রশাসনের সাহায্য গ্রহণ করবো। তবে জমাত আলী মাষ্টার জানান, এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে তিনি আরো জানান সারাদেশেই তো এই কোচিং বানিজ্য চলছে, তারপরও আমরা আইনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিক্ষার দিন বাদ দিয়ে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছি, তবে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে আমরা কোচিং বন্ধ করতে পারছিনা ।
উল্লেখ, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেন।