1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন কাদেরের অভিনেত্রী সুস্মিতার রহস্যজনক মৃত্যু ট্যুরিস্ট ভিসায় তিন দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশিরা চট্টগ্রামে কলেজ অধ্যাপককে ঘুষি মারা ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার ভোট চাইতে গেলে প্রভাবশালীরা দা নিয়ে তাড়া করছে হিন্দু ধর্মের অনুসারী সুধা রানীকে ইসলাম ধর্মের হাদিস বিষয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ মানিকগঞ্জে ৪ ইটভাটাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা সানলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির জমা টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সভাপতি আব্দুল গনি সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল  মানিকগঞ্জে আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন

হরিরামপুরের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ১৮২৮ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, হরিরামপুর:

হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটার সময় বাল্লা ইউনিয়নের ভাদিয়াখোলা ফিরোজা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাতাহাতিসহ স্কুলের ১০/১২টি ব্রেঞ্চ ভাংচুর করা হয় বলে জানা যায় ।

বাল্লা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সভাপতি প্রাথী বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাকদক মোঃ জিগির আলী অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তাদের মনগড়া এবং পছন্দের প্রার্থীদের দিয়ে কমিটি গঠন করার উদ্যোগ নিলে তাতে বাধার সৃষ্টি করলেই ১নং ওয়ার্ডের আরেক সভাপতি প্রার্থী এবং বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন তার লোকজনদের লেলিয়ে দিয়ে হামলা চালায়।

হামলায় আমিসহ আমার ছোট ভাই মকর আলী, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান নান্নু আহত হয়। এঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে খোজ নিয়ে আরও জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বাল্লা ইউনিয়নসহ ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের উদ্যোগে একটি বর্ধিত সভা করে। ওই বর্ধিত সভায় ১০ দিনের মধ্যে বাল্লা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের জন্য মৌখিকভাবে উপজেলা নেতৃবৃন্দ দশ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্তরা হলেন বাল্লা ইউনিয়নের সভাপতি ড. জহির উদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর সাত্তার পান্না, আমিনুল ইসলাম মুঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ড. শাজাহান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া, নজরুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক মো. বাচ্চু মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন ভুলু, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হাজারী শামীম।

১০ দিনের সময় বেধে দিলেও প্রায় পনের দিনেরও অধিক সময় অতিক্রম হলেও দায়িত্ব প্রাপ্তরা কমিটি গঠনে ব্যর্থ হন। এ ব্যাপারে বাল্লা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু মিয়া মুঠো ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সভাপতি ড. জহির উদ্দিন আমাকে ফোনে বলেন, কাল  ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আমরা কমিটি গঠন করার ব্যাপারে একটু আলাপ আলোচনার জন্য বসব তুমি উপস্থিত থেক। এই কথার ওপর নির্ভর করে উপস্থিত হই। আলোচনা সভার শুরুতেই সাধারণ সম্পাদক ডা. শাজাহান তার উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে জানান, আজ ৯টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত জানায়। আমি আমার বক্তব্যে এই সিদ্ধান্তকে বিরোধিতা করি। কারণ সব ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের না জানিয়ে হুট করেই কয়েকজন মিলে কমিটি গঠন করাবে আমার কাছে শুভকর মনে হয়নি। রীতিমতো চুরি করে কমিটি করার মতো ঘটনা মনে হয়েছে।

তাছাড়া কমিটি গঠন হবে এটা কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রাপ্ত আমাদের ৬জন নেতৃত্বাধীন সদস্য জানিনা। আমার বক্তব্যের মাঝে এই বিরোধিতায় অনেকেই সহমত পোষণ করেন। এরপরেই হ্ট্টগোল লেগে যায়। পরে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এতে জিগির আলী, মকর আলী এবং আনিসুর রহমান নান্নু আহত হয়। এ ঘটনায় ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী মোতাহারের লোকজন ঘটায় বলে জিগির আলী সহ অনেক নেতৃবৃন্দ দাবী করেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক নেতা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার জানান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু মিয়ার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরেই গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। কারা মারধরের সাথে জড়িত আমি তা জানিনা বা আমি তাদের কাউকে চিনিও না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাজান মুঠো ফোনে জানান, একটু হাতাহাতি হয়েছে। যার ফলে ওই দিন আমরা কমিটি গঠন স্থগিত করেছি। পুনরায় উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে কমিটি গঠন করা হবে।

ওই দিন সন্ধ্যার পরেই আহত জিগির আলী বর্তমান ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোতাহার হোসেনের নামে হরিরামপুর থানা মামলা দায়ের করতে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আব্দুর রব থানায় উপস্থিত হয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঈদ চৌধুরীর সামনে বসেই জিগির আলীকে মিমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা থেকে বিরত রেখে তাকে বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেয়ার কথা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু। এছাড়া মুঠোফোনে তিনি আরো জানান, এক জায়গায় দলীয় কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত হলে সেখানে কমবেশি কথা কাটাকাটি হতেই পারে। এটা তেমন বড় ধরনের কোনো বিষয় নয় বা বড় ধরনের কিছু ঘটেও নাই। তবে যাই ঘটুক আমরা সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি সমাধান করার জন্য সচেষ্ট আছি।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঈদ চৌধুরীর কাছে জানতে তার মুঠো ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগকরা সম্ভব হয়নি। ঘটনার দিন রাতে বাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম হাজারী শামীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সুরহা করার চেষ্টা করলে জিকির আলী তা না মেনে চলে যায়।

এ প্রসঙ্গে মো. শফিকুল ইসলাম হাজারী শামীম জানান, নেতৃত্বের প্রতিযোগীতার কারণেই একে অপরের প্রতি বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে আসছে। এগুলো থাকবেই। এর ভেতর দিয়েই আমাদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং পরিচালিত হবে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury