স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো: মাহফুজুর রহমান খান। মাহফুজুর উপজেলার বোয়ালী পাড়া গ্রামের মৃত হাজী আফতাব উদ্দিন খানের ছেলে।
গুরুত্বর আহত মাহফুজুরকে প্রথমে শিবালয়ের উথুলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শর্যা জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। শনিবার সকালে নিজবাড়ীর সামনে কাজ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মাহফুজুর রহমান খানের বড় ভাই আব্দুল মতিন জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে আমার ছোট ভাই নিজ বাড়ীর সামনে মাটি ভরাটের কাজ করতেছিল। এসময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাবেক বিডিআর সদস্য মো: রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মৃত নাসির উদ্দিন খানের ছেলে মো: সফি উদ্দিন খান, মো: আলমাছ উদ্দিন খান,সফির ছেলে আকাশ, মো: আবু বক্করের ছেলে মো: ফরহাদ হোসেন ও মো: ফারুক হোসেনসহ আরো কয়েকজন লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাহফুজুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তার মাথায়,শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করায় কান দিয়ে রক্ত বের হয় এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় উদ্ধার করে উথুলী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ২৫০ শর্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মাহফুজর হাসপাতালের ৬ তলার ৫নং বেডে চিকিৎসাধীণ রয়েছে। তিন আরো জানান, রফিকুল চাকরী থেকে অবসরে আসার পর থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এর আগে জোরপূর্বক বোয়ালী পাড়া মসজিদের পুকুরে মাছ ধরার সময় নিষেধ করায় তাকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে রফিক। এ ঘটনায় তিনি মামলার আসামীও হয়েছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
হামলার ঘটনায় নেতৃত্বের বিষয়ে মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার আগে ও পরে ছিলাম তবে ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমি থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। এ ঘটনায় শুধু মাহফুজুর রহমান খান আহত হয়েছেন।