গত ৬/০৩/২০২০ ইং তারিখে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেষের পৃষ্ঠায় “সাত মাস মসজিদে তালা” এই শিরোনামে ও জেটিভি অনলাইনে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণদিত।একটি কুচর্কীমহল প্রতিবেদককে ভুল তথ্য পরিবেশন করে এ উক্ত প্রতিবেদনটি করিয়েছে বলে দাবী করেন বলড়া ইউনিয়নের আদাশ্বরী জামে মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: নুরুল হক।
সে লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রকৃতপক্ষে নুরুল আমিন মসজিদের জায়গা দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে আদাশ্বরী জামে মসজিদের সভাপতি পদ হারানোর পর থেকে সে বেপোরোয়া হয়ে উঠে। গত কোরবানির ঈদের দিন মসজিদের ইমাম আবুল হাশেম নামাজ শেষে গেটে তালা দিয়ে বাসায় চলে যায়। পরে যোহরের নামাজের সময় মসজিদে এসে দেখে তালার উপরে তালা লাগানো। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে যে, নরুল আমিনের নেতৃত্বে এরফান, সবুজ, আজমত, কাশেম রহমানসহ তার কয়েকজন সহযোগি এসে তালার উপর তালা দিয়েছে। ঘটনার তিনদিন পরে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলামের সহযোতিায় তালা ভেঙ্গে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়।এরপর থেকে নামাজের সময় মসজিদ খোলা থাকে এবং মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে আসছে।
গত বুধবার বিকাল তিনটার দিকে নুরুল আমিন দুই সাংবাদিককে খবর দিয়ে নিয়ে এসে নিজেই মসজিদে তালা দিয়ে বন্ধ মসজিদের ছবি ও ফুটেজ ক্যামেরায় ধারন করানো হয় এবং তার সহযোগিদের দিয়ে শিখানো বক্তব্য রেকর্ড করানো হয়। গত বৃহস্পতিবার ভুয়া অনলাইন জেটিভিতে মনগড়া ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে।
উল্লেখ্য আমাদের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে আপন ছোট ভাই নুরুল আমিন। আমার বাবা মাজেদ মোল্লার ৮১ শতাংশ জমি ছিল। সেই জমি নুরুল আমিন অন্য ভাইদের সহযোতিগায় গোপনে আমাকে না জানিয়ে চার ভাইয়ে লিখে নেন। নুরুল আমিন ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের চাকুরী করে কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলো তা আমার বোধগম্য নয়। সাভার ও নবীনগরে জায়গা কিনে দুইটি বিল্ডিং বাড়ি করেছে। দুই বাড়ীতে তার দুই স্ত্রী বসবাস করছে। এছাড়া শিবালয় উপজেলায় আরিচাতে একটি বিবাহ করেছে। সেখানেও একটি বাড়ী করেছে। বলড়ার আদাশ্বরীতেও দুইটি এক তালা বিল্ডিং বাড়ী করেছে ও আরোও একটি বাড়ীর করার জায়গা আছে।
এছাড়া বলড়া ইউনিয়নে পিপুলিয়া কাণ্ঠাপাড়া চকে নিজ নামে দুইটি ইট ভাটা রয়েছে। বর্তমানে তার নামে ও বেনামে প্রায় ৩০০ শত বিঘা জমি রয়েছে। দুর্ণীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ায় সে এলাকার মানুষকে মানুষ মনে করে না। প্রতিনিয়িত এলাকার সহজ সরল মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অসহায়। এছাড়া তার দুই ছেলের নামে মারামারি, মাদক সেবক ও বিক্রীসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর আগে ছেলেরা কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে। স্থানীয় এলকাবাসীরা তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে সাহস পায় না। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: নুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ, আদাশ্বরী জামে মসজিদ, বলড়া ইউনিয়ন ,হরিরামপুর।