স্টাফ রিপোর্টার:
চীন ছাড়িয়ে করোনা ভাইরাস যখন ইতালিতে বিস্তার ঘটালো বিশ্ব তখন ভয়ে অস্থির। অস্থির হওয়ার মতোই ঘটনা। কারণ দেশটিতে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল লাফিয়ে। ফলে, ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে লকডাউন জারি করে ইতালি। কিন্তু এতেও সামলানো যায়নি মৃত্যুর মিছিল। এমনকি মাত্র কয়েকদিনেই মৃত্যুর সংখ্যায় ছাড়িয়ে যায় চীনকেও। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। তাইতো অর্থনীতির চাকা সচল করতে লকডাউন পরিস্থিতি শিথিলের পাশাপাশি দেশটি ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আগামী ৩ জুন থেকে প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে দেশটির নাগরিকরা সেদিন থেকে বিদেশ এবং বিদেশি নাগকরিকরা ইতালি ভ্রমণ করতে পারবেন। এমন একটি আদেশে সই করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তে, যা শনিবার (১৬ মে) প্রকাশিত হয়েছে। অর্থনীতির চাকা ফের সচল করতে লকডাউন শিথিল করার পর ৩ জুন থেকে দেশটির নাগরিকদের বিদেশ এবং বিদেশি নাগরিকদের ইতালি ভ্রমণে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সরকার এ পদক্ষেপ নিল। দেশটির জন্য এটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে লকডাউনের কারণে সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দেশটিতে স্বাভাবিক হয়ে আসছে পরিস্থিতি। বিবিসির খবরে বলা হয়, ৪ মে থেকে ইতালিতে লকডাউন শিথিল করে কিছু কারখানা এবং পার্ক খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ কন্তের সই করা সাম্প্রতিক এ আদেশে, ১৮ মে থেকে কিছু দোকানা এবং রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।এদিকে ক্যাথলিক চার্চগুলোও সেদিন (১৮ মে) প্রার্থনার আয়োজন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চার্চে আগতদের অবশ্যই ফেস মাস্ক পরিধানের পাশপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে অন্য ধর্মের অনুসারীরাও জমায়েত করে প্রার্থনার অনুমতি পেয়েছেন। ইতালিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হয়েছে ৩১ হাজার ৬১০ জনের। দেশটির চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে (৮৭ হাজার ৫৫৯ জন) এবং যুক্তরাজ্যে (৩৪ হাজার ৭৮ জন)।