নিজেদের সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়া একটি নৌকা থেকে ৩০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটকের পর তাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, চলতি সপ্তাহে আমাদের জলসীমায় আটক ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাবে মালয়েশিয়া। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সংখ্যালঘু লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। মালয়েশিয়ার সরকার রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। দেশটির সরকার বলছে, তারা আর কোনও রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। করোনাভাইরাসের বিস্তারের লাগাম টানতে সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।
সাবরি ইয়াকুব বলেন, রোহিঙ্গাদের এটা উচিত যে- তারা যদি এখানে আসেন, তাহলে এখানে তাদের জায়গা হবে না। যদি দেখা যায় যে আটক রোহিঙ্গা কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়েছেন, তাহলে তাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহ্বান জানাবে বলে জানিয়েছেন এই মন্ত্রী।
সোমবার মালয়েশিয়ার নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা অন্তত ২৬৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় লঙ্কাওয়ি দ্বীপের কাছে একটি ক্ষতিগ্রস্থ নৌকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, আটক রোহিঙ্গাদেরকে ভাষানচরে স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাবে মালয়েশিয়া। এছাড়া বিশ্বের তৃতীয় কোনও দেশে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএচসিআরের প্রতি আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা করছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ায় আটক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এই শরণার্থীদের পুরো দায়-দায়িত্ব মিয়ানমারের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কেন তারা মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান না? এ নিয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কোনও মন্তব্য করেনি।