শিবালয় প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বরংগাইল এলাকায় পৈত্রিক মালিকানাধীন ভোগদখলীয় সম্পত্তি জোর দখল করে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত ওসমান মল্লিকের ছেলে জার্মান আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ।
বিভিন্ন মামলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন মহাদেবপুর মৌজায় সিএস ৪২৮ খতিয়ানে ৫২ শতাংশ ভূমি হেচা মল্লিকের নামে রেকর্ড থাকার পর এসএ ৫৫৬ নং খতিয়ানে ১২২৮ নং দাগে ৫০ শতাংশ ভূমি হেচা মল্লিকের নামে রেকর্ডভূক্ত হয় । কিন্তু আর এস ১৭৩ নং খতিয়ানে ১০৮৪ নং দাগে ভ্রমাতœকভাবে উসমান মল্লিকের নামে রেকর্ডভূক্ত হলেও উক্ত ভূমি সিএস এবং এস এ মূল জোতের মালিক হেচা মল্লিকের ওয়ারিশ হিসেবে হাসেম আলী গং ভোগ দখল করে আসছে । উক্ত ভূমিতে হাসেম আলী গংদের কাঠ বাগান, একটি ঘর ও মাছ চাষের পুকুর রয়েছে । মূল জোতের ওয়ারিশ মূলে এবং দখলীয় সম্পত্তির মালিক হাসেম আলী গং আর এস রেকর্ড ভ্রমাতœক হওয়ায় শিবালয় সহকারী জজ আদালতে দে: ১৪৮/২০০৭ নং মোকদ্দমা দায়ের করে । দে: ১৪৮/২০০৭ নং মামলার রায় বরকত আলী গংদের বিরুদ্ধে গেলে দে: আপীল ০৯/২০১০নং দায়ের করে । ০৯/২০১০ নং দে: আপীল না মন্জুর হলে হাসেম আলী গং মহামান্য হাইকোর্টে ১১৮/২০১৪ নং সিভিল রিভিশন দায়ের করে। মহামান্য হাইকোর্টের ১১৮/২০১৪ নং সিভিল রিভিশন মামলায় হাসেম আলী গং ডিক্রি পায়। মুলত জার্মান আলী ও তার পরিবারের উক্ত সম্পত্তির কোন বধৈ কাগজপত্র না থাকার পরও জার্মান আলী ও তার পরিবার উক্ত ভূমি জোর দখল করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান হাসেম আলী ও তার পরিবারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ।
এ বিষয়ে হাসেম আলীর ভাই বরকত আলী বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি আমরা দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখলে আছি । এছাড়া আমরা মহামান্য হাইকোর্টের একটি মামলায় ডিক্রি পেয়েছি । ১৪৪ ধারা (নিষেধাজ্ঞা) মামলায় ও ডিক্রি পেয়েছি । তারপরও জার্মান আলী ও তার পরিবার উক্ত ভূমি জোর দখল করে উচ্ছেদের চেষ্টা চালাচ্ছে ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জার্মান আলীর সাথে যোগাযোগের জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে না পেয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন ।