স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের দিয়াইল গ্রামে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আপেল খান নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।
ওই ব্যক্তি প্রভাবখাটিয়ে মসজিদের মাটি ভরাটের কথা বলে বিভিন্নস্থানে মাটি বিক্রি করে আসছে। তার ড্রেজিংএর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাশ্ববর্তী জমির মালিকরা। স্থানীয়ভাবে তাকে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি জোরপূর্বক মাটি কেটে যাচ্ছেন।
শনিবার সরেজমিন দিয়াইল গ্রামে তার ড্রেজারটি চলতে দেখা গেছে।
পাশ্ববর্তী জমির মালিক সোহেল রানা জানান, একই উপজেলার বানিয়াজুরি ইউয়িনের জাবরা গ্রামের বাসিন্দা আপেল খান। তিনি প্রায় ৫/৬ মাস ধরে বানিয়াজুরি-কেল্লাই-কলতা সড়কের দিয়াইল এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে আসছে। এতে করে ড্রেজিংকৃত জমির পাশে থাকার তার ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। এই বর্ষায় তাদের জমিসহ কয়েকজনের জমি ভেঙ্গে যাবে। এবিষয়ে নিষেধ করা সত্ত্বেও আপেল খান কোন কথা না শুনে প্রশাসনের অনুমতি আছে বলে জোড় করেই মাটি কেটে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, দুই তিন মাস আগে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযান চালিয়ে তার ড্রেজিং বন্ধ করে দিয়েছিল। ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর তিনি আবার পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশ্ববর্তী জমির মালিকরা বলেন, আপেল খান অনেক প্রভাবশালী তাই তার বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যায়না।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, বর্তমানে করোনার কারণে পুরো দেশ যখন একটা খারাপ সময় পাড় করছে ঠিক সেই সময়ে আপেল খান অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে স্থানীয়জনগনের ক্ষতি সাধণ করছেন। বিষয়টি প্রশাসন অবশ্যই গুরুত্বসহকারে দেখবে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ড্রেজার ব্যবসায়ি আপেল খান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছেন।
তবে, ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার বলেন, এর আগে ওই ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে তার ড্রেজার বন্ধ করে দেওয়াসহ জরিমানা করা হয়েছিল। ড্রেজিং কার্যক্রমের জন্য কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওই কর্মকর্তা আরো জানান।