মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ধর্ষণ ও প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মহত্যা করেছে আফরোজা
নামের ওই প্রেমিকা।
গত শুক্রবার দুপুরে আফরোজা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এদিকে ওই
রাতেই আফরোজার প্রেমিক একই উপজেলার কাকনা গ্রামের আনছার আলী ছেলে অয়নকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের গ্রামের কাজী
আরিফুর ইসলামের মেয়ে আফরোজা আক্তার (১৫) বৃহস্পতিবার দুপুরে তার প্রেমিক
অয়ন আলীর সাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে যায়। ঘরিয়ালা এলাকায় উদীয়মান যুবসংঘ
ক্লাবের রতন, তন্ময়সহ কয়েকজন বখাটে তাদের মোটরসাইকেল থামায়। পরে তারা
আফরোজা ও অয়নকে ক্লাব ঘরে সন্ধ্যা পর্যন্ত আটকিয়ে রাখে। ওই সময় তারা
অয়নের সামনেই আফরোজাকে ধর্ষণ করে। পরে বখাটেরা আফরোজাকে তার ফুপুর বাড়ি
রেখে আসে। শুক্রবার দুপুরে সে ফুপুর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা
করে।
এদিকে পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রেমিক অয়ন আলী স্থানীয়
সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছেন সে আফরোজাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ঘুরতে
বেড়িয়েছিল। উদীয়মান ক্লাবের ছেলেরা তাদের আটক করে মোবাইল ফোন টাকা পয়সা
নিয়ে নেন। এর পর তারা আফরোজাকে মারধরে করে ভয় দেখিয়ে তার সামনেই ধর্ষন
করে। শুক্রবার সকালে আফরোজার বাবা বিয়ের স্থানীয় মুরুব্বীদের নিয়ে অয়নকে
বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্ত আফরোজাকে বখাটেরা ধর্ষণ করেছে বিধায় সে ওই
বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, শুক্রবার
সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। মামলার অভিযোগ অনুযাযী অয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের
গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অয়ন বখাটে রতন ও তন্ময়ের
বিরুদ্ধে আফরোজাকে ধর্ষনের অভিযোগ তুলেছে। তার অভিযোগ কতটা সত্যতা রয়েছে
তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ধর্ষনের বিষয়টি
নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন সে অনুযাযী পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।