প্রথম রোগী শনাক্তের পর পার হয়েছে প্রায় ছয়মাস, এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র, লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রতিষেধক গবেষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এখনও করোনা মোকাবিলার মোক্ষম অস্ত্রটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, এত দুঃসংবাদের মধ্যেই আশা দেখাচ্ছে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। বিশ্বে করোনা রোগীদের অর্ধেকের বেশি ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
করোনা সংক্রমণের তথ্যপ্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে, বিশ্বে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন অন্তত ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯৫ জন। মারা গেছেন ৫ লাখ ৪ হাজার ৪১০ জন।
ওয়েবসাইটির তথ্যমতে, বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৪১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৩ জন। এদের মধ্যে ৯৯ শতাংশই অল্প অসুস্থ, বাকি এক শতাংশের অবস্থা গুরুতর।
গত ২০ মে থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিশ্বব্যাপী দৈনিক এক লাখ নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে সুস্থ হয়ে হাসপাতালও ছাড়ছেন বহু মানুষ। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রায় প্রতিদিনই অর্ধ-লক্ষাধিক করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকবারই দৈনিক লক্ষাধিক ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় নভেল করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্তত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে, মারা গেছেন অন্তত ১ লাখ ২৮ হাজার। তবে সুস্থতার দিক থেকেও সবার ওপরে তারা। যুক্তরাষ্ট্রে করোনামুক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।
এরপর রয়েছে ব্রাজিল ও রাশিয়া। ব্রাজিলে ১৩ লাখ রোগীর বিপরীতে সুস্থ ৭ লাখ ৩৩ হাজার, রাশিয়ায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়ে গেছেন প্রায় চার লাখ।
বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ ও এশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে ভারত। দেশটিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৬ হাজার ৪৮৭ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন অন্তত ৩ লাখ ২১ হাজার মানুষ।