1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

কিনে নয়, গাছের যত্নে ঘরেই তৈরি করুন সার

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০
  • ৫২০ বার দেখা হয়েছে

ঘরের বারান্দা, ছাদ কিংবা উঠানে অনেকেই শখ করে বাগান করে থাকেন। যেখানে ফুল, ফল, সবজি ইত্যাদি নানা রকম গাছই শোভা পায়। গাছ মন ভালো করার পাশাপাশি শরীরও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

নিয়মিত পানি দেয়া, আলো ও ছায়ায় নিয়ম মেনে রাখা, আগাছা পরিষ্কার করা, মাটি আলগা করে দেয়াসহ অন্যান্য সব যত্ন নিতে হয় গাছের। তবে এসব ছাড়াও এর নিয়মিত পরিচর্যার একটি বড় অংশ হল সার। কারণ গাছদের পরিপূর্ণ পুষ্টি ও বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় সারের। সাধারণত বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যায় গাছদের জন্য উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় সার। তবে করোনাকালের এই সময়ে বাইরে যাওয়াটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ।

তবে এ সময়ে সারের প্রয়োজন মেটাবে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের ফেলনা অংশগুলো। অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস দিয়ে খুব সহজে ঘরেই তৈরি করে নেয়া সম্ভব উপকারি সার। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-

ঘরে সার তৈরি করতে যা লাগবে

ঘরে সার তৈরি করতে আলাদাভাবে কোন বাড়তি জিনিসের প্রয়োজন হবে না। প্রতিদিনের খাদ্যের উচ্ছিষ্ট অংশ থেকেই সার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলের খোসা, সবজির খোসা, ডিমের খোসা, ঘাস ও গাছের ঝরে যাওয়া পাতা, গাছের শুকনো পাতা, গাছের ডাল, ছেঁড়া খবরের কাগজ ও কফি গুঁড়া প্রয়োজন হবে।

সার তৈরির পদ্ধতি

বড় ও গভীর একটি পাত্রে প্রতিদিন উপোরক্ত জিনিসগুলো অল্প অল্প করে জড়ো করতে হবে। তবে সার তৈরি উদ্দেশ্যে উচ্ছিষ্ট অংশ জড়ো করার আগে প্রতিটি জিনিস যথাসম্ভব ছোট করে কেটে ও গুঁড়া করে নিতে হবে। মোটামুটি পাঁচ ইঞ্চি পরিমাণ জিনিস জমলে এতে পানি দিতে হবে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ পানি দিতে হবে, যেন জিনিসগুলো আর্দ্রতাপূর্ণ থাকে। খুব বেশি পানি একবারে কখনোই দেয়া যাবে না এবং পাত্রসহ জিনিসগুলো গরম ও উষ্ণ স্থানে রাখতে হবে।

তিন-চার দিন পরপর নাড়ানি দিয়ে পাত্রের ভেতরের জিনিসগুলো উল্টেপাল্টে দিতে হবে এবং পানি দিতে হবে। এতে করে সব অংশ সমানভাবে পানি পাবে ও নরম হবে। এভাবে অন্তত ১০ থেকে ১৫ দিন যাওয়ার পর গাছে ব্যবহারের মত উপযুক্ত হবে তৈরিকৃত সার।

সার তৈরিতে যেসব জিনিস ব্যবহার করা যাবে না 

ঘরোয়া এই সার তৈরিতে উপরে উল্লেখিত জিনিসগুলো ব্যবহার সবচেয়ে ভালো ও উপযুক্ত। অনেকেই এর সঙ্গে পেঁয়াজ ও রসুনের খোসাও ব্যবহার করেন, তবে কিছু ক্ষেত্রে এই দুইটি খোসা ব্যবহার না করাই শ্রেয়। এছাড়া কিছু উপাদান একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। যে কোনো ধরনের উচ্ছিষ্ট মাংস, ফ্যাট, রান্নার ঝোল, রোগবাহী গাছের কোন অংশ, গৃহপালিত প্রাণীর মল, দুগ্ধজাত কোনো খাদ্যাংস ইত্যাদি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury