ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে অন্তত ২৩ জনের প্রাণ গেছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারো মানুষ। শনিবার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য দিয়েছে।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমের মিয়াগদি জেলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ ৩০ জনের বেশি। শুক্রবার আকস্মিক বন্যায় সেখানে অনেক বাড়িঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক জ্ঞান নাথ ধাকাল।
হেলিকপ্টারের সহায়তায় অর্ধশত মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে বললেন ধাকাল, ‘নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হতাহতদের উদ্ধারে দূরবর্তী স্থানগুলোতে এইমাত্র পৌঁছেছেন উদ্ধারকর্মীরা।’
পাশের কাস্কি জেলায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন পোখার পর্যটক শহরের এক সরকারি কর্মকর্তা। আরও পশ্চিমে জাজারকোটে আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন। এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কিশোর শ্রেষ্ঠা বলেছেন, ‘আমরা এখনও নিখোঁজ ৮ জনকে খুঁজছি।’
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের সমতল ভূমির সীমান্তে অবস্থিত কোশি নদীর কারণে প্রায় প্রতি বছর ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের রাজ্য বিহারে বন্যা হয়। এই নদীতে পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে জানিয়েছে পুলিশ। তাছাড়া প্রায় প্রতি বছর জুন-সেপ্টেম্বরের বর্ষা মৌসুমে হিমালয় কন্যা নেপালে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা নিয়মিত ঘটনা।