গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে সাবধানতা এবং সুস্থতার নিয়মগুলো মেনে চলা উচিত। কারণ এই সময়েই একটি নতুন প্রাণ তার ভেতরে বেড়ে ওঠে। গর্ভাবস্থায় কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না প্রচুর তথ্য পাওয়া যাবে। রয়েছে তর্ক-বিতর্কও। সবচেয়ে বেশি বিতর্কিতর তালিকায় রয়েছে রসুনের নাম।
যদিও এটি একটি অ্যান্টি-ভাইরাল খাবার যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী, তবে গর্ভাবস্থায় অনেকে রসুন খাওয়া থেকে পুরোপুরি বিরত থাকে। এটি নিরাপদ কি-না সেই বিষয়ে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
আপনার জন্য রসুন ভালো?
রসুন শরীরের জন্য শুধু একগুচ্ছ পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহই করে না, এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ড্রাগও। এটি শরীরে রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক করে তোলে এবং হরমোনের কার্যকারিতা ভারসাম্যপূর্ণ করে। এই সময়ে নিয়মিত রসুন খাওয়ার সুবিধা হলো এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যেহেতু এটি অ্যান্টি-ভাইরাল খাবার। রসুনে অ্যালিসিন রয়েছে, যা বিভিন্ন জীবাণু এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকরভাবে কাজ করে।
গর্ভবতীদের জন্য রসুন নিরাপদ?
কিছু খাবার রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত উপকারী এবং কিছু ক্যাফেইন জাতীয় হিসাবে ক্ষতিকারক বলে অভিহিত হয়। রসুন এর মধ্যে কোনো বিভাগেই পড়ে না।
গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়ার পরে কী ঘটে?
রসুন একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুর্দান্ত। তবে আপনি কতটা রসুন খেলেন তার উপরে নির্ভর করে উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি।
যদিও প্রথম তিন মাসে রসুন খাওয়া একেবারেই নিরাপদ। গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে, বিশেষত শেষের মাসগুলোতে পরিমাণের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় কাঁচা রসুনের মতো কিছু জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত।
কেন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়?
রসুন অল্প খেলে তা একেবারেই নিরাপদ। তবে, যেহেতু এতে রক্ত পাতলা হওয়া বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্তচাপকে প্রভাবিত করতে পারে, তাই এটি বেশি খাওয়া কিছুটা ভীতিজনক হতে পারে।
স্বাদ এবং গন্ধের কারণে অনেকে ভেষজ উপাদানগুলো এড়িয়ে চলেন। যেহেতু এর গন্ধ অত্যন্ত তীব্র, তাই এটি অপ্রয়োজনীয় হতে পারে এবং কোনো কোনো গর্ভবতীর জন্য অস্বস্তিদায়ক হতে পারে।
উপসংহার
যদিও গর্ভাবস্থায় রসুন খাওয়ার বিষয়ে প্রচুর পরামর্শ এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হয় তবে এটি নিরাপদ নয়। আপনাকে যা মনে রাখতে হবে তা হলো, একে এড়িয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সংযমী হওয়া। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডায়েটে কোনো কিছু যোগ করবেন না এবং বাদও দেবেন না।