1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মানিকগঞ্জে আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন ধামরাইয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে তালা দিলেন আ.লীগ নেতা নো হেলমেট, নো ফুয়েল কার্যকরের নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, খালু ও খালাতো ভাই গ্রেপ্তার লিচুর বিচি গলায় আটকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু বাড়িতে মুরগি যাওয়ায় প্রতিবন্ধী নারীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা বাবার ঋণ নিয়ে যা বললেন রাফসান চেয়ারম্যান প্রার্থী জানুর জনসমর্থন নেই,ভোট নেই, তাই বিশৃঙ্খলা করছে-সংসদ সদস্য জাহিদ ভুয়া নিয়োগপত্র আর প্রশিক্ষণ দিয়ে এনএসআইয়ে চাকরির নামে প্রতারণা ১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, পাশ করেনি কেউ

অক্সফোর্ডের তৈরি করোনার টিকা যেভাবে মানবদেহে কাজ করবে

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০
  • ৪১৫ বার দেখা হয়েছে

করোনাভাইরাসের এই অস্থির সময়ে সুখবর হয়ে এসেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি টিকা। সোমবার জানানো হয়েছে এই টিকা মানুষের জন্য নিরাপদ এবং করোনার বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঠিক কিভাবে এই টিকা মানুষের শরীরে কাজ করবে? কতগুলো ডোজ উৎপাদন করা হবে? কারা আগে পাবে? দাম কেমন পড়বে? চলুন প্রশ্নের উত্তরগুলো জানার চেষ্টা করি।

যেভাবে কাজ করবে:
অক্সফোর্ডের তৈরি টিকাটির নাম ChAdOx1 nCoV-19. অভুতপূর্ব গতিতে এটার উন্নতি সাধিত হয়েছে। এটি তৈরি করা হয়েছে শিম্পাঞ্জির ঠাণ্ডা লাগার জন্য যে মৌলিক বিষয়টি দায়ী সেটার জীন নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণার মাধ্যমে প্রচুর পরিমার্জন ও পরিবর্ধন শেষে মানুষের শরীরে প্রয়োগযোগ্য করে তৈরি করা হয়েছে টিকাটি। সে কারণে একটি মানুষের শরীরে কোনো সংক্রমণ ঘটতে দিবে না এবং একই প্রক্রিয়ায় এটি করোনাভাইরাকেও রুখে দিতে পারবে।

করোনাভাইরাসের যে স্পাইক প্রোটিন মানবদেহের কোষকে আক্রমণ করে সেটা নিয়ে গবেষণা করে সেটার ভিত্তিতে জেনেটিক নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। সুতরং এটি করোনাভাইরাস রুখে দিতে পারবে এবং করোনাভাইরাসকে রুখে দেওয়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারবে।

আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমের মাধ্যমে যে প্রোটিন উৎপাদিত হয় (এন্টিবডি) এবং যে প্রোটিনটি করোনাভাইরাসের উপরিভাগে থাকে সেটাকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম এই টিকা। এন্টিবডিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার মাধ্যমে ভাইরাসটিকেও অক্ষম করে দেওয়া সম্ভব।

পাশাপাশি আমাদের শরীরের যে টি-সেল রয়েছে (এক ধরনের লোহিত রক্ত কণিকা) যেটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সহায়তা করে এবং ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ ও ধ্বংস করে সেটার সক্ষমতা বাড়াবে এই টিকা।

মূলত সব ধরনের টিকাই এন্টিবডি ও টি-সেলকে প্রভাবিত করে কাজ করে।

এটা কতোটা নিরাপদ?
অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা মানবদেহের জন্য নিরাপদ। তবে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রীয়া রয়েছে। যেমন এই টিকা নেওয়ার পর জ্বর কিংবা মাথাব্যাথা হতে পারে। যেটা প্যারাসিটামল সেবনে সেরে যাবে। এই টিকার আবিস্কারক প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট বলেছেন এখনো তাদের অনেক কাজ ও গবেষণা বাকি রয়েছে। সেগুলো সম্পন্ন করে পুরোপুরিভাবে টিকাটিকে প্রস্তুত করেই বাজারে ছাড়া হবে।

শিগগিরই বড় পরিসরে এটার ট্রায়াল শুরু হবে। যেখানে যুক্তরাজ্যের ১০ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার, ব্রাজিলের ৫ হাজার ও দক্ষিণ আফ্রিকা ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিবেন।

কবে নাগাদ পাওয়া যাবে এই টিকা?
সমস্ত গবেষণা ও প্রক্রিয়া শেষে আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরের শেষ দিকেই এই টিকা সীমিত আকারে বাজারে পাওয়া যাবে। পরবর্তী বছরের শুরুতে বড় আকারে পাওয়া যাবে।

কাদের প্রথম দেওয়া হবে এই টিকা?
প্রথমদিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই টিকা দেওয়া হবে। এরপর আগামী বছর বিস্তৃতভাবে দেওয়া শুরু হবে।

কতোগুলো ডোজ উৎপাদন করা হবে?
যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকার ১০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার দিয়ে রেখেছে। নতুন বছরে হয়তো এটার উৎপাদনের সংখ্যা বিলিয়ন ডোজ ছাড়িয়ে যাবে।

দাম কতো পড়বে?
এখনো অবশ্য দাম নির্ধারণ করা হয়নি। এটার এখনো অনেক গবেষণা বাকি রয়েছে, ট্রায়াল বাকি রয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রীয়াগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে আরো কাজ করতে হবে। এসব কিছু ঠিকঠাকভাবে করার পরেই বাজারে ছাড়া হবে।

যেহেতু এই টিকা মানুষের জীবন-মরণের প্রশ্ন, বৈশ্বিক চাহিদার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকছে, সুতরাং আশা করা যায় মানবিক দিক বিবেচনা করে এটার চড়া মূল্য হবে না। বিভিন্ন সময় এই টিকা তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রতিষ্ঠানগুলো এমনই আশ্বাস দিয়ে আসতেছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury