ভারত কর্তৃক কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বর্ষপূর্তির আগেই কাশ্মীরকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। নতুন মানচিত্রে গুজরাটের জুনাগড়কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নয়া মানচিত্রের অনুমোদন শেষে ইমরান খান বলেন, আজ পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ঐতিহাসিক দিন। এই প্রথমবার ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের এতে সায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি ভারত সরকারের গত বছরে নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও একটি প্রতিবাদ। খুব শিগগিরই এটি জাতিসংঘে উত্থাপন করা হবে।’
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি সরকারের এ পদক্ষেপ সম্পর্কে বলেন, ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর মাধ্যমে প্রথমবার বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলা হলো।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাভের পর অচিরেই নতুন মানচিত্রটি পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক মানচিত্রে পরিণত হবে। এরপর সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে স্কুল-কলেজের পাঠ্য বইয়ে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এখনো সরকারীভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নতুন এ মানচিত্রের মাধ্যমে পাকিস্তান ভুল স্বপ্ন দেখছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদ দুটি বাতিল করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ভারতের অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের কাশ্মীরে সম্পত্তি ক্রয় করার ওপর বিধিনিষেধ উঠে যায়।
পাশাপাশি অন্য রাজ্যে বসবাসরত ভারতীয়দের কাশ্মীরে সরকারি চাকরি পাওয়া কিংবা কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসবাসের বিধিনিষেধও বাতিল হয়ে যায়।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেয় মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা।
এদিকে কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ দাবি করা পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে।