ওয়াশিংটনের কাছে বিমান ঘাঁটিতে অবতরণের আগ মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে একটি ছোট ড্রোন প্রায় আঘাত হানতে বসেছিল। তবে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেয়েছে ট্রাম্পকে বহনকারী সেই বিমান।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যার এই ঘটনা সম্পর্কে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানে থাকা কয়েকজন আরোহী নিশ্চিত করেছেন বলে খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। হলুদ ও কালো রঙয়ের ক্রস আকৃতির একটি বস্তু এয়ার ফোর্স ওয়ানের বিমানের সামনের ডান দিকে আসে। তবে এটি দেখতে ড্রোনের মতো হলেও ড্রোন কিনা সেটি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ব্লুমবার্গ বলছে, ম্যারিল্যান্ডের অ্যান্ড্রু বিমান ঘাঁটিতে অবতরণের আগ মুহূর্তে বিমানের বেশ কয়েকজন যাত্রী এই বস্তুটি দেখেছেন। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ারফোর্স ওয়ানের ওই বিমান ৫টা ৫৪ মিনিটে অ্যান্ড্রু বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে।
সোমবার হোয়াইট হাউসের মিলিটারি অফিস এবং মার্কিন বিমান বাহিনীর ৮৯তম বিমান পরিবহন শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত এবং বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা চলেছে।
বিমান চলাচলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত তদন্তকারীদের পক্ষে এ ধরনের ভাসমান ঘটনা যাচাই করা বেশ কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত এ ধরনের মনুষ্যবিহীন হাজার হাজার ডিভাইস আকাশে উড়তে দেখা যায়; এটিও সেরকমই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্লুমবার্গ বলছে, অধিকাংশ বেসামরিক ড্রোন সাধারণত কয়েক পাউন্ড ওজনের হয়ে থাকে এবং এগুলোর মাধ্যমে বিমান ভূপাতিত করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে দেশটির সরকারি গবেষণা বলছে, ছোট আকারের পাখির সংঘর্ষে বিমানের যে ধরনের ক্ষতি হতে পারে; সেই ক্ষতির মাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এ ধরনের ড্রোনের আঘাত। ড্রোনের আঘাতে বিমানের ককপিট ছিন্নভিন্ন অথবা ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।