কলকাতার রানাঘাটের স্টেশনের ভিক্ষুক থেকে মুম্বাইয়ের রেকর্ডিং স্টুডিওতে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়েছিলেন। তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল ভারতের সবখানে। বাংলাদেশেও তাকে নিয়ে আগ্রহ ছিল দারুণ।
কিন্তু অহঙ্কার আর বাজে ব্যবহারের জন্য সেই রানু মণ্ডলের পতন হতে সময় লাগেনি। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে যে স্টেশন থেকে উঠে এসেছিলেন আবার সেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট স্টেশনেই জায়গা হলো তার। আবারও সেই আগের মতো হাত পেতে ভিক্ষা করেই জীবন চালাতে হচ্ছে তাকে। সম্প্রতি এমন খবরই প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘এই সময়’।
তারা জানায়, দাম্ভিকতা ও দুর্ব্যবহারের জন্য ভাগ্য তাকে সুযোগ দিলেও সেটি কাজে লাগাতে পারলেন না রানু। সামান্য বিখ্যাত হয়ে উঠতেই নিজেকে তিনি অনেক বড় তারকা মনে করতে শুরু করেন। সবার সঙ্গেই বাজে আচরণ করেছেন।
কেউ ছবি তুলতে এলে ভুল ইংরেজিতে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যহার করেছেন। ভিখারিদের নিয়েও নোংরা মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। সেই সব ঘটনার ছবি-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বারবার, যা ক্ষেপিয়ে তুলেছে তার প্রতি সদয় হওয়া সবাইকে।
কেউ আর কাজ দেয় না। নেই কোনো গানেরও শো। বেঁচে থাকার তাগিদে আবার সেই স্টেশন চত্বরেই ফিরে আসতে হলো তাকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রানাঘাট স্টেশনে গান গাওয়ার সময় অতীন্দ্র নামে এক যুবক তার গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যান। টিকটক ভরে যায় রানুর কণ্ঠ আর গানের ভিডিওতে। এরপর তার গান নজরে আসে হিমেশ রেশমিয়ার। তিনি তাকে বলিউডের একটি ছবির গানে কণ্ঠ দেয়ার সুযোগ দেন।
তারপর থেকেই নানা রিয়েলিটি শোতেও ডাক পরে রানুর। কিন্তু শিক্ষা, রুচি ও সুন্দর আচরণের অভাব রাতারাতি সেনসেশনে পরিণত হওয়া রানু মণ্ডলকে ছুড়ে ফেললো আবার সেই রাস্তায়ই।
/মহিদ