স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বারাহিরচর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর ড্রেজারের নিচ থেকে প্রতিবন্ধী কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। নিহত কিশোরী বারাহিরচর ঘোনাপাড়া গ্রামের আলেকচানের মেয়ে তাহমিনা ( ১২) । এঘটনার পর থেকেই ড্রেজারের সাথে জড়িতরা পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে গোসল করতে গিয়ে নদীর পাড় ভেঙে ড্রেজারের ড্রামের নিচে মৃত্যু হয় প্রতিবন্ধী তাহমিনার।
এঘটনায় বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নিহত পরিবারের খোজ খবর নেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এঘটনায় এলাকার মিমাংসা করার শর্তে থানায় কোন মামলা করা হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, নদী খননের নামে দীর্ঘ ধরে এই ড্রেজার দিয়ে একই স্থান থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উওোলন করে বিক্রি করে আসছে রনি মোল্লা ও আসিফ। বেশী গভীরতার কারনে মেয়েটিকে সময় মতো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, স্হানীয় রনি মোল্লা আসিফ অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উওোলন করে সরকারি খাল ভরাট সহ এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি ডোবা নাল ভরাট করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক তদারকির অভাবে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু কাটার ফলে এরকম দূর্ঘনা ঘটছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্হানীয় লোকদের দায়িত্ব দিয়ে ঢাকা বসে এই নদী খনন কাজ নিয়ত্রন রেখে সরকারি বিল উওোলন করছে। নিজেদের ড্রেজার দিয়ে বালু না কেটে স্হানীয় লোকদের শ্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি করা ড্রেজারের মাধ্যমে নদী খনন করা হচ্ছে। যার ফলে সরকারের নদী খনন প্রকল্প শতভাগ সফল হচ্ছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে হাছান ব্রাদাস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক, বলেন এঘটনা অত্যন্ত দুঃখ জনক বিষয় যাহারা ড্রেজার দিয়ে বালু উওোলন করে তাদের অবহেলায় হয়তো ঘটনা ঘটছে, এইদায়ভার তাদের নিতে হবে এবং কোম্পানি নিহত পরিবারের পাশে থেকে সহযোগিতা করবে।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী সালামত ফকির বলেন, হাছান ব্রাদাস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ট্রেন্ডারে কাজটি নিয়েছে এখন তাহারা কিভাবে নদী খনন করবে তাদের বিষয় তবে খনন কাজে কোন রকম অনিয়ম হলে আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করবো।