বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলের কাছে মুখ না খোলার জন্য করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে চীন। তারা যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছু পোস্ট করতে না পারেন সেজন্য তাদের অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনা মহামারি শুরু হয়। অবশ্য চীন একে ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে। সম্প্রতি করোনার উৎস সন্ধানে চীনের উহানে গিয়েছেন জাতিসংঘের তদন্ত দল।
এএফপি জানিয়েছে, উহানের যেসব কর্মকর্তা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছিলেন তাদের অনেক স্বজনের অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচকদের একজন এবং চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাট ব্যবহারকারীদের একটি গ্রুপ জানিয়েছে, ১০ দিন আগে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়েছে।
মহামারির শুরুর দিকে কোভিড-১৯ এ মারা গিয়েছিল ৫১ বছরের ঝাংয়ের বাবা। ঝাংসহ করোনায় মারা যাওয়া স্বজনরা উইচ্যাটে একটি গ্রুপ চালাতেন।
তিনি বলেন, ‘এতে দেখা যাচ্ছে তারা (চীনা কর্তৃপক্ষ) বেশ স্নায়ুচাপে রয়েছে। তারা আতঙ্কিত যে, এই পরিবারগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন উহানে এলো তখন (কর্তৃপক্ষ) জোর করে মুছে ফেলা হলো (গ্রুপ)। এর ফলে আমরা অনেক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার উপায় হারিয়ে ফেলি।
গত বছরের জানুয়ারিতে উহানেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণীর মা জানান, গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল। গণমাধ্যম বা অন্য কারো সামনে তিনি যেন কোনো কথা না বলেন সেজন্য তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
ওই নারী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার আমার দরজায় এসেছিল এবং সেই পুরনো সুর শুনিয়েছে। শোকের খরচ হিসেবে তারা আমাকে পাঁচ হাজার ইউয়ান (৭৭৫ মার্কিন ডলার) দিয়েছে।