বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো। কিন্তু এতোদিন অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকার অনুমোদন দেয়নি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ)। তবে অবশেষে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইইউ। এখন থেকে ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলো ১৮ বছরের উর্ধ্বের যেকোনো বয়সী ব্যক্তিকে এই টিকা দিতে পারবে। খবর বিবিসি’র।
এর আগে ইএমএ দুটি টিকার অনুমোদন দিয়েছিল। অক্সফোর্ডেরটা দেওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে হলো তিন। এর আগে ফাইজার ও মর্ডানার টিকার অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেডিসিন এজেন্সি।
অবশ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন এতোদিন না দেওয়ায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে ইইউ। অনেকে বিষয়টিকে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। এ নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ইইউর মধ্যে বাগযুদ্ধও কম হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশই তাদের জনগনকে টিকা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক দেশে টিকার স্বল্পতাও দেখা দিয়েছে। তাতে করে যে গতিতে টিকাদন কর্মসূচি শুরু হয়েছিল সেটা হয়ে পড়েছে ধীরগতির। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেওয়ায় আবার গতিপ্রাপ্ত হবে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের টিকাদান কর্মসূচি।
গেল বছর ৪০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা কিনতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছিল ইইউ। কিন্তু এতোদিন এই টিকার অনুমোদন না দেওয়ায় সেই চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। অবশেষে নানা সমালোচনা ও চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অনুমোদন দিলো ইইউ।