ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসে একটি বাঁধের ওপর পড়ার ঘটনায় জোর উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারীরা এখন পর্যন্ত ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। এখনো নিখোঁজ আছেন শতাধিক মানুষ। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে ১০টি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা বলা হলেও তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া সাতটি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর দিয়েছে। এদিকে ভারতের সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, হঠাৎ নামা এই ধসের ফলে চামোলির তপোবন বাঁধের কাছে নির্মানাধীন টানেলে আটকা পড়েছে অন্তত ২০ জন। আইটিবিপি-র ডিজি এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তাদের দল আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে। রেনি গ্রামের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে নদী থেকে। বাকিদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।
ঘটনাস্থলে রয়েছেন আইটিবিপি-র ২৫০ জন জওয়ান। ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও সেখানে যাচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। উদ্ধার কাজ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এনটিপিসির ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছি। এদিকে, ধস নামার পরেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে ভাগীরথীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয়েছে। সেজন্য খালি করে দেয়া হয়েছে শ্রীনগর ও ঋষিকেশ বাঁধ। জলের স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে জোশীমঠের মালারি অঞ্চলে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের তৈরি এক সেতু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটে সবার নিরাপদে থাকার প্রার্থনা করেছেন। পরিস্থিতির দিকে তিনি নজর রাখছেন বলেও জানান। অমিত শাহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। টুইটারে তিনি লেখেন, আমি নিশ্চিত উদ্ধারকার্য ও ত্রাণকার্য ভালোভাবেই চলছে।