দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পল্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মা নদীতে মাইক্রোবাস ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ চালকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় আদর গ্রামের বাবলু মাতব্বর নদীর ধারে হাঁটতে গিয়ে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।পরে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মোন্নাফ শেখকে জানান তিনি। ঘটনাস্থলে মাইক্রোবাসচালকের বড় ভাই ফারুক হোসেন, ছোট ভাই শাহীন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে আসলে লাশটি মাইক্রোচালকে মারুফ হোসেনের বলে শনাক্ত করেন তারা। মারুফের বাড়ি সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার সুন্দরের চক গ্রামে। ৩ কন্যাসন্তানের জনক তিনি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ঝড়ের আঘাতে পল্টুনের তার ছিঁড়ে নদীতে পড়ে ডুবে যায় সাদা রঙের মাইক্রোবাসটি। বেলা দেড়টার দিকে মাইক্রোটিকে উপরে তুলতে সক্ষম হন উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারের পর মাইক্রোবাসের ভেতর কাউকেই পাওয়া যায়নি। মাইক্রোটিতে অন্য কোনো যাত্রী ছিল কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি তখন।
ডুবন্ত মাইক্রো থেকে চালক হাত নাড়িয়ে সাহায্য চাইছিলেন বলে জানান একজন প্রত্যক্ষদর্শী। এরপর চালকের খোঁজে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল।