স্টাফ রিপোর্টার
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মানিকগঞ্জসহ ২২৫টি স্থাপনা উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান।

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এবং সচিব এর নির্দেশনায় এবং মহাপরিচালক এর তত্বাবধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করেছে নিজস্ব জনবল দিয়ে। এই প্রকল্প গুলো ডিডিএম এর শক্তি সামর্থ্যের বহিঃপ্রকাশ। প্রকল্পগুলো দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।ডিডিএম এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ (পিআইও এবং ডিআরআরও) এবং প্রধান কার্যালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পগুলো প্রণয়ন করেন।

এরই মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে তিন তলাবিশিষ্ট জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চয়ালি উপস্থিত থেকে মানিকগঞ্জ জেলাসহ ৩০টি জেলায় নির্মিত ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, সাইক্লোন প্রবণ এলাকায় নির্মিত ১১০টি বহুমুখী ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র,বন্যা প্রবণ এলাকায় নির্মিত ৩০ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে, ০৫ টি মুজিব কিল্লার উদ্ধোধন ও ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগন এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাগন প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রকল্প সমূহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প অফিস মনিটরিং করেন। মানিকগঞ্জে নির্মিত ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্রটি নির্মাণের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস।
গত শনিবার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, উদ্ধোধন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেন। সিংগাইর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আবু নাছের, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম সালেকুল আলম সহ সকল পিআইওগন সার্বিক সহযোগীতা করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান-সিটি বিল্ডার্স এর প্রতিনিধি মো. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী ডা:এনামুর রহমান বলেন, ‘দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রাণী সম্পদের আশ্রয়ের জন্য কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় ২২০ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র,বন্যা প্রবণ এলাকায় ৪২৩ টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন এবং ৬৬ টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মান কাজ চলমান।এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দুর্যোগকালীন জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড়,বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।’

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।