আমার নিউজ ডেস্ক,
ধনৌরির এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হরিদ্বারের জ্বালাপুর এলাকার এক ব্যক্তি পূজা নামক এক নারীর সঙ্গে তার বিয়ের জন্য সম্বন্ধ ঠিক করেছিলেন। ওই নারী অত্যন্ত গরীব হওয়ায় ওই ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল বিয়ের আগে। এরপর একটি কোর্টে তাদের বিয়ে হয়।
তবে বিয়ের পরেই ফুলশয্যা শেষ হতেই নারীটি সমস্ত গয়না, উপহার এবং টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সেখান থেকে। এমনকি ওই ব্যক্তির অভিযোগ অনুষ্ঠানে যে ব্যক্তি নারীর বাবা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনিও নকল বাবা সেজেছিলেন। এছাড়াও কনেপক্ষের অন্যান্য সদস্যদেরকেও সাজিয়ে আনা হয়েছিল। ভোরবেলা এই দৃশ্য দেখে হতবাক এই নারীর সদ্য বিবাহিত স্বামী। এরপর তার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ জানান তিনি।
জানা গেছে, নারী এবং তার আসল স্বামী মিলে একটি প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল। তারা এমন যুবকের খোঁজ করত যারা নারীটিকে দেখে মুগ্ধ হয় এবং বিয়ে করতে রাজি হয়।
এরপর নারীটি নিজেকে গরিব বলে পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত। অন্যদিকে তাদের বিয়ে একটি কোর্টে দেয়া হতো এবং সেখান থেকেই মেয়েটি নতুন শ্বশুরবাড়িতে রওনা দিতে।
এরপর রাত কাটতে না কাটতেই নারীটি উধাও হয়ে যেত। শেষ যাকে সে বিয়ে করে তার কাছ থেকে পালিয়ে মেয়েটি রাজস্থানে যায় এবং এরপরও নাকি সে বিয়ে করেছিল।
যে ব্যক্তিকে ফাঁকি দিয়ে নারীটি পালায় তারা মেয়েটির খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারে যে সেই মেয়েটি এবং তার আসল স্বামী একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। সেখানে তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।