আমার নিউজ ডেস্ক,
ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার উৎপাদিত করোনার টিকা দেহে দীর্ঘমেয়াদী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের টিকা নেওয়ার পর অতিরিক্ত টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নাও পড়তে পারে। নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফাইজারের তৈরি করোনার দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ১৪ জনের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরে দেখা গেছে, প্রথম ডোজ নেওয়ার ১৫ সপ্তাহ পরেও তাদের রোগ প্রতিরোধী কোষগুলো করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয় রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ আলি এল্লিবেদি বলেন, ‘টিকা নেওয়ার পর প্রায় চার মাস ধরে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত ছিল – এটি খুব, খুব ভাল লক্ষণ।’
এর আগের গবেষণাগুলোতে টিকা নেওয়ার পর কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া মানুষদের দেহে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরির প্রমাণ পাওয়া গেছে। নতুন অনুসন্ধানগুলো অবশ্য আগের তথ্যের সঙ্গে এটাই যুক্ত করবে যে, এমআরএনএ টিকাগুলো একাই অনেক বছর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৃদ্ধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন মানুষদের হয়তো অতিরিক্ত টিকার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ভাইরাস ও ভ্যারিয়েন্টগুলোর বর্তমান রূপ পুরোপুরি বদলে ফেলার আগ পর্যন্ত অধিকাংশ টিকাগ্রহণকারীর হয়তো অতিরিক্ত টিকার প্রয়োজন পড়বে না।
তবে প্রতিরোধক কোষগুলোও বিকশিত হয়। সংক্রমণ বা টিকা নেওয়ার পরে, প্রতিরোধক কোষগুলো ক্রমশ পরিশীলিত হয়ে ওঠে এবং এগুলো ভাইরাল জেনেটিক সিকোয়েন্সগুলোর বিভিন্ন সেট সনাক্ত করতে শেখে। এই কোষগুলো যত বেশি পরিশীলিত হবে, ততোই ভাইরাসের বিভিন্ন রূপ ধ্বংস করতে সক্ষম হবে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের রোগ প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ম্যারিয়ন পিপার বলেন, ‘সবাই সবসময় ভাইরাসের রূপ বদলের ওপর মনোযোগ দেয়- এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বি-কোষগুলো একইরকম কাজ করছে। এটি ভাইরাসের চলমান রূপ বদলের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে, যা সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক।