যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। সোমবার (৫ জুলাই) আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ১৯ জুলাই থেকে এই বিধিনিষেধ শিথিল করার পক্ষে মত দিয়েছেন। ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় এবং এই ভ্যাকসিনগুলো করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিপক্ষে লড়াইয়ে সক্ষম হওয়ার সবুজ সংকেত পাওয়ার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এই মত দিয়েছেন।
বরিস জনসন জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহের এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তে সামাজিক দূরত্ব মানার কঠোরতা ও মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতার বিষয়টিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সিদ্ধান্তও বাতিল হবে। নাইটক্লাবগুলো আবারও খোলার অনুমতি পাবে এবং রেস্তোরাঁগুলোতে নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যক্তির উপস্থিতির বিধিনিষেধ উঠিয়ে নেওয়া হবে।
বরিস জনসন এক কনফারেন্সে বলেন, ‘আমরা হয়ত শিঘ্রই স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছি। দিনটি হয়ত নিশ্চিতভাবেই ১৯ জুলাই নয়, তবে তারিখটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনে যাত্রা শুরু করার দিন।’
সম্প্রতি জনসনের ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালু হবার পর থেকে গত ২০ দিনে দেশটিতে সংক্রমণের হার ও হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা তুলনামুলকভাবে কমেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিঘ্রই দেশটিতে করোনার প্রকোপ কমে আসবে। যুক্তরাজ্যে ৪০ বছর উর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকার মধ্যকালীন সময়কাল ১২ সপ্তাহ থেকে কমিয়ে ৮ সপ্তাহ করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ব্রিটিশ জনসংখ্যার মোট ৮৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি তাদের প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন। সোমবার (৫ জুলাই) পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যক্তি তাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন।
বরিস জনসনের সরকার ইংল্যান্ডের জন্য নতুন স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণ করলেও স্কটল্যান্ড, ওয়েলস বা উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো নীতি গ্রহণ করেনি।