উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত এই ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার, মংলা বন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার ও পায়রা বন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থন করছিলো।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তাল বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যেই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে ‘জাওয়াদ’। এরপর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছাবে।