এস এম আকরাম হোসেন :
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারী কার্যালয় ও জেলা শহরের সকল দোকানের জন্য নতুন জাতীয় পতাকা তৈরী করা হয়েছে। আজ (বুধবার) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিজয় দিবসে গৃহিত কর্মসূচী অবহিতকরণ প্রেস ব্রিফিং-এ ব্যতিক্রমধর্মী এই উদ্যোগের কথা জানান জেলা প্রশাসক মুহাম্মন আব্দুল লতিফ।
প্রেসব্রিফিং-এ আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সানোয়ারুল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. জোবায়ের ও মোস্তাফিজুর রহমান, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আহম্মেদ সাব্বির সোহেল, সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মনবেন্দ্র চক্রবর্তী, মানিকগঞ্জ টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক আমার পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আকরাম হোসেন সহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে বিবর্ণ, ছেড়া ও ভিন্ন ভিন্ন আকারের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে। জাতীয় পতাকার মর্যাদা কিংবা এর আকার সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা না থাকার ফলে ভুলভাবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা হয়েছে। জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে প্রিাথমিক, মাধ্যমিকসহ জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও জেলাশহরের সকল দোকানের জন্য এক হাজার বড় আকারের জাতীয় পতাকা তৈরী করেছে জেলা পরিষদ। প্রতিটি উপজেলা পরিষদ, উপজেরা ভূমি কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারী কার্যালয়ের জন্য জেল প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তিন শতাধিক পতাকা তৈরী করা হয়েছে। পুলিশ বিভাগের উদ্যেগেও তাদের সকল কার্যালয়ে নতুন পতাকা তৈরী করা হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব নতুন পতাকা হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন জাতীয় পতাকার পাশাপাশি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজনদের জন্য চার হাজার ছোট আকৃতির জাতীয় পতাকা এবং লাল সবুজ রঙের ক্যাপ দেওয়া হবে। বিকেল চারটায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সারাদেশে একযোগে পরিচালিত শপথ পাঠ অনুষ্ঠানটি প্রচারের নিমিত্তে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে স্থাপন করা হবে এলইডি স্ক্রীন। জমায়েত করা হবে হবে তিনহাজার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তখন তাদের হাতে থাকবে একটি করে জাতীয় পতাকা ও মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় রাখতে, আয়োজন করা হয়েছে ৫০জন বাউল ও ৫০জন তবলচির সমন্বয়ে লোকগানের আসর। ‘
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ‘সাধীণতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দোকান মালিকদের জন্য একহাজার ২০০ বড় আকারের জাতীয় পতাকা তৈরী করে সরবরাহ করছি। পাশাপাশি বিজয় দিবসের সমাবেশের জন্য তিন হাজার ছোট আকারের জাতীয় পতাকা, লালসবুজ রঙের মাথার ক্যাপ এবং মাস্কও সরবরাহ করব।’