সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে পারে সে দেশের সরকার। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হতে পারেন দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতাও।
বুধবার (২৫ মে) পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে জিও নিউজ।
পেশোয়ার থেকে ‘আজাদী মার্চ’ নামে লং মার্চ নিয়ে রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ইমরান খানের। তবে পাকিস্তান সরকার ওই লং মার্চের অনুমোদন দেয়নি।
এদিকে লাহোর থেকে ইসলামাবাদের দিকে অগ্রসর হওয়া পিটিআই-এর কিছু কর্মী বাট্টি চকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। মূলত সড়ক প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দেওয়ার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে।
লাহোরের বাট্টি চকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে পিটিআই কর্মী সমর্থকরা
মঙ্গলবার (২৪ মে) শেহবাজ শরিফের সরকার পিটিআই-এর ‘আজাদী মার্চ’ বানচাল করতে সব শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এ জন্য পুলিশ পিটিআই নেতা-কর্মীদের আটক করতেও শুরু করেছে। একই সঙ্গে লং মার্চ যাতে কোনো অবস্থাতেই অগ্রসর হতে না পারে সে জন্য লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইসলামাবাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনকারী প্রতিটি সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ইসলামাবাদের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনীকেও নামানো হচ্ছে বলে জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, পাকিস্তান অধ্যুষিত পাঞ্চাবে ১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকে এখন পর্যন্ত পিটিআই-এর ১৬২ নেতাকর্মীকে লাহোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিও নিউজ সরকারের বিভিন্ন সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানায়, কর্তৃপক্ষ ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছে। একই সঙ্গে তারা সমস্ত দিক এবং ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছে। এরপরই তারা পরিকল্পনাটি এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা আরো জানায়, লং মার্চ থেকে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে এমন পরিস্থিতি থেকেই ইমরান ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের আটক করা ছাড়া সরকারের কাছে আর কোনো সুযোগ নেই।
গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সূত্রগুলো জানায়, পিটিআই কর্মীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিরোধের মোকাবেলায় সুসজ্জিত থাকবে। সরকারি সংস্থাগুলো পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত।