চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে প্রায় ৩০০ বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর মধ্য ১০ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছে। সাত মাস আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তারপর থেকে দেশ দুইটির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের ঘটনা। কাতারভিত্তক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিনিময়ের অংশ হিসেবে রাশিয়া ২১৫ ইউক্রেনিয়ানকে মুক্ত করেছে। এর মধ্যে পাঁচজন কমান্ডারও রয়েছে। তারা এই বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণের বন্দর শহর মারিউপোলে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ইউক্রেন ৫৫ জন রাশিয়ান, মস্কোপন্থি ইউক্রেনীয় ও ভিক্টর মেদভেদচুককে ফেরত পাঠিয়েছে। তিনি একটি নিষিদ্ধ রুশপন্থী দলের নেতা, যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মুখোমুখি ছিলেন।
জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তিটি হতে সাহায্য করেছে সৌদি আরব-তুরস্ক।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, এটা আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য স্পষ্ট জয়। তবে প্রধান বিষয় হলো ২১৫টি পরিবার এখন তাদের ভালোবাসার মানুষকে দেখতে পারবে। এজন্য তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।
তবে এর আগে রাশিয়া ও এর নাগরিকদের রক্ষায় যুদ্ধ করার জন্য আরও সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই নির্দেশনার ফলে যারা কোনো এক সময় রুশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন বা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সেই সব রিজার্ভিস্টদের এখন যুদ্ধ করার জন্য ডেকে পাঠানো হবে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মাতৃভূমি, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য তিনি সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকেই সৈন্য সমাবেশ শুরু হয়েছে।