নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বের দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার ২০২২ সালের ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টে’ এ তথ্য জানিয়েছে।
এবারের প্রতিবেদন ১১৮টি দেশের ওপর জরিপের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১১৭। ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ ছিল বাংলাদেশ। ২০২০ সালেও বাংলাদেশ এই তালিকায় শীর্ষে ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এক ঘনমিটার বাতাসে বছরে পিএম২.৫-এর (বায়ুবাহিত ছোট ও বিপজ্জনক পার্টিকল) উপস্থিতির গড় পাঁচ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
আইকিউএয়ারের রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশের বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতির গড় ছিল ৬৫ দশমিক ৮। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রার ১৩ দশমিক ২ গুণ বেশি পিএম২.৫ রয়েছে বাংলাদেশের বাতাসে। দেশটির সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষনের অন্যতম কারণ যানবাহন থেকে বের হওয়া ধোঁয়া এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত ধোঁয়া। এছাড়া দেশটিতে যে বিপুল সংখ্যক ইটভাটা রয়েছে সেগুলোও দূষণের অন্যতম উৎস।
এতে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের মতো বিষাক্ত বাতাস নাক, চোখ, গলা এবং পেটের শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে জ্বালা হওয়ার মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। এছাড়া দূষিত বায়ুর কারণে বুকের সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।