নিউজ ডেস্ক:
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯৯০ এর দশকে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ই জিন ক্যারল নামে এক ম্যাগাজিন কলামিস্টকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন বলে মামলায় প্রমাণ পেয়েছেন বিচারকদের একটি দল।
কিন্তু ট্রাম্পকে বার্গডরফ গুডম্যানের ড্রেসিংরুমে ই জিন ক্যারলকে ধর্ষণের জন্য দায়ী করা হয়নি। তবে এই নারীর অভিযোগকে প্রতারণামূলক ও মিথ্যা বলায় মানহানির জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টের দায় খুঁজে পেয়েছেন বিচারকরা।
এই প্রথম ট্রাম্প যৌন হয়রানির জন্য আইনিভাবে দায়ী হলেন। ম্যানহাটন আদালতের বিচারকরা ওই নারীকে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পকে নির্দেশ দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি আদালত জানিয়েছেন, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখিকা ই জিন ক্যারলের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিলেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রাম্প।
নব্বইয়ের দশকে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যৌন নিপীড়ন ও হেনস্তার ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই লেখিকা প্রায় ৫০ লাখ ডলার পাবেন।
তবে এ মামলার রায়ের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আদালতে হাজির ছিলেন না। ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন নারীর সমন্বয়ে গঠিত জুরি বোর্ডের সামনে একটি ভিডিও দেখানো হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
নিউইয়র্কে একটি আইন পাস হয়েছে, সে অনুযায়ী ভুক্তভোগী কেউ চাইলে যৌন নিপীড়নের ঘটনার বহু বছর পরও অভিযোগ আনতে বা মামলা করতে পারেন। ওই আইনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার পেলেন লেখিকা ই জিন ক্যারল।
রায় ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে রিপাবলিকান পার্টি বলেছে, এই মামলাটি একেবারেই বানোয়াট একটি মামলা, এটি ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে হয় করার একটা চক্রান্ত। কারণ আগামী নির্বাচনে তিনি আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন।
ট্রাম্পের দল বলেছে, তারা এই মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।