নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর প্লেনের সীমান্ত লঙ্ঘন ঠেকাতে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে রাশিয়া। বাল্টিক সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর দু’টি বি-১ বোমারু বিমানের ‘রাষ্ট্রীয় সীমান্ত লঙ্ঘন রোধ করতে’ এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান পাঠায় দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর প্লেনের সীমান্ত লঙ্ঘন ঠেকাতে যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে রাশিয়া। বাল্টিক সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর দু’টি বি-১ বোমারু বিমানের ‘রাষ্ট্রীয় সীমান্ত লঙ্ঘন রোধ করতে’ এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান পাঠায় দেশটি।
বুধবার (২৪ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ সামরিক বাহিনী মার্কিন বিমানের সীমান্ত লঙ্ঘন প্রতিরোধ করেছে। আকাশসীমা ব্যবহারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই রুশ ফাইটারের উড্ডয়ন কঠোরভাবে পরিচালিত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রাষ্ট্রীয় সীমান্ত থেকে বিদেশি সামরিক বিমানগুলো সরিয়ে দেওয়ার পর রুশ ফাইটার জেটটি নিজ দেশের বিমান ঘাঁটিতে ফিরে গেছে। আকাশে উড্ডয়নরত লক্ষ্যবস্তুকে মার্কিন বিমান বাহিনীর দু’টি বি-১বি বোমারু বিমান হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাশিয়ান ফাইটার জেটের ক্রুরা।
এদিকে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে মার্কিন বিমান আটকানো হয়েছে।
তিনি বলেছেন, বি-১ বোমারু বিমানগুলো ইউরোপে একটি নির্ধারিত মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল। মার্কিন বিমানের সঙ্গে রাশিয়ান ফাইটারের মিথস্ক্রিয়া ছিল ‘নিরাপদ ও পেশাদার’।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমাদের কাছে দুটি বি-১ বোমারু বিমান আছে। সেগুলো বোমারু টাস্ক ফোর্সের অংশ… এই দু’টি সামরিক বিমান আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড্ডয়ন করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপে একটি দীর্ঘ পরিকল্পিত মহড়ায় অংশ নিতে সেগুলো রুশ আকাশ সীমান্তের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, রাশিয়ান বিমানের সাথে আমাদের মিথস্ক্রিয়া ছিল নিরাপদ ও পেশাদার। তাই সেই বিষয়ে রিপোর্ট করার মতো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।