1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন

অতিরিক্ত মাত্রায় লোডশেডিংয়ে ভুগছে টাঙ্গাইল

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :


ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে টাঙ্গাইলে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। গ্রাম কিংবা শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় প্রচণ্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। শিল্প-কারখানাগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ঈদুল ফিতর এবং বৈশাখের আগে দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিকিকিনিতে ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় আবাসিক ও শিল্পকারখানাসহ প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক রয়েছেন। এসব গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে টাঙ্গাইল জোনে ৭টি উপজেলা ও ময়মনসিংহ জোনে ৫টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। টাঙ্গাইল জোনের জোনাল অফিসের আওতাধীন ৬ লাখের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছেন। ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের আওতায় ৪ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। জেলার ছোট বড় ৮ শতাধিক শিল্প কারখানায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুত সমিতি। এসব শিল্পকারখায় পাঁচ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।

জানা গেছে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং মানুষের ভোগান্তি চরমে নিয়ে গেছে। প্রতিদিন সকাল ৭টার পর থেকে সূর্যের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুরে রোদের তাপ আরও বেশি বাড়ে। ফলে রোজাদারের কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। এরমধ্যে শহর এলাকায় পালা করে এলাকা ভিত্তিক দফায় দফায় লোডশেডিং করা হয়। এই রমজানে ইফতারের সময় কিছুটা কম লোডশেডিং হলেও সেহরির সময় প্রায় বিদ্যুৎ থাকছে না। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। চলতি বোরো মৌসুমে চাষের জমিতে পানি সেচ দিতে না পারায় ফলন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।

টাঙ্গাইল জেলা শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ার বাসিন্দা ইমাম হোসেন, আকুর টাকুর পাড়ার শহিদুল ইসলাম রুমি, বটতলার আনিছুর রহমান, তালতলার মঞ্জুরুল ইসলাম, আদি টাঙ্গাইলের গৃহবধূ রহিমা রহমান জানান, দাবদাহে বাসায় থাকা যায় না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সবাই অতিষ্ঠ। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে তারা।

শহরের হিরা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন, শাহালম মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, জয়নাল আবেদীন জানান, ক্রেতার চাপ থাকলেও প্রচণ্ড গরমে দোকানে বসে থাকা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে আসে না। বিদ্যুৎ না থাকায় আইপিএস কোনো কাজে আসছে না। কারণ আইপিএস চার্জ হচ্ছে না।

টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন বলেন, টাঙ্গাইল শহর এলাকাতে প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সম্প্রতি তিনি টাঙ্গাইল জোনে যোগদান করেছেন। টাঙ্গাইল জোনে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। এ এলাকায় ছোট বড় মিলে ৪৫০টি শিল্পকারখানাসহ ও আবাসিক গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ১০০ থেকে ১০৫ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং বেড়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ময়মনসিংহ জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. শহীদ উদ্দিন জানান, প্রচণ্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সর্বোচ্চ লোডশেডিং চলছে। এ জোনের আওতায় ৪ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিদ্যুতের চাহিদা ৫৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মেগাওয়াট।

বিউবো টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার কামরুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভায় ৪৭ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। গত সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক ছিল। ৪-৫ দিন ধরে তারা ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। এই ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন কম পাওয়া যাচ্ছে তা তিনি জানেন না। ফলে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury