‘আইস বার্ন’ ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর? এই উত্তরে পরে জানাচ্ছি। তার আগে বলে নেই, ত্বকের যত্নে অনেকে আইস ফেসিয়াল করেন। ব্রণ, র্যাশ, ফুসকুড়ি দূর করতেও আইস ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে নিয়মিত আইস ফেসিয়াল করলে ত্বকের ক্ষত দূর হয়। কারণ ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় বরফ। নিয়ম মেনে আইস ফেসিয়াল করলে ত্বকের কালচে ভাব দূর হয় আর ত্বক হয় উজ্জ্বল। চোখের চারপাশে বরফ ঘষে নিলে ফোলা ভাব কমে যায়, ক্লান্তি দূর হয়। কিন্তু বরফ ঘষার সময় সতর্ক থাকতে হবে। ভুল হলে হতে পারে আইস বার্ন। যা মুখের ত্বক পুড়িয়ে দিতে পারে
দ্যা স্টাইল সাইকেল-এর তথ্য, আইস ফেসিয়াল শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। এটি ত্বক ভালো রাখে এবং ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।
আইস ফেসিয়াল রার সিক িয়ম: ত্বকে সরাসরি রবফ ঘষা যাবে না। সুতি কাপড় বা তোয়ালেতে বরফের টুকরো নিতে হবে। তারপর পুরো মুখে আলতো করে বুলিয়ে নিতে হবে। এক জায়গায় বেশি সময় ধরে রাখা যাবে না। বরফ মুখে ত্বকে বেশি সময় ধরে রাখলে সেখানে পোড়া দাগ হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসকেরা বলেন, ত্বকের কোনো অংশ বেশি সময় বরফ ধরে রাখলে কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি কোষ জমে শক্ত হয়ে যেতে পারে। আর কোষ জমে গেলে মুখের ত্বকে রক্ত চলাচলে সমস্যা দেখা দেয় এবং অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। এতে মুখে কালচে পোড়া ভাব জেগে ওঠে।
ত্বকের যত্নে আইস ফেসিয়াল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার কারণ এতে খুব টাকা খরচ করার দরকার হয় না।নিয়ম মেনে বরফ ব্যবহার করলে উপকারও মেলে তবে বরফের বদলে ‘বরফ পানি’ ত্বকে দিতে যাবেন না। এতে মুখের ত্বক কুঁচকে যেতে পারে। মুখে অকালে বলিরেখা পড়তে শুরু হতে পারে। দেখা দিতে পারে লালচে র্যাশ। মুখে বরফ ঘষলে যদি লালচে ভাবা দেখা দেয় তাহলে বরফ ব্যবহার না করাই ভালো। মুখে বরফ ঘষলে তারপরে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।