1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

কারো প্রতি শারীরিক আকর্ষণ বোধের ১০ কারণ (শেষ পর্ব)

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪০২ বার দেখা হয়েছে

বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি মানুষের আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ করে নির্দিষ্ট কারো প্রতি কেন থাকে শারীরিক আকর্ষণ? এর ১০টি বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।

চেহারার আকৃতি: বলিষ্ঠ চোয়ালবিশিষ্ট পুরুষদের নারীরা বেশি পছন্দ করে থাকেন। এটার কারণ আজও একটি রহস্য। আসলে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরণ নামক হরমোনের ফলে পুরুষ এবং নারীর হাড় এবং চেহারা গঠন হয়ে থাকে। যেসকল নারীদের ছোট ভ্রূ এবং সুন্দর চোখ থাকে তারা বেশি উর্বর হয় বলে ধরা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ভ্রূ এবং চোয়ালের গঠন সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।

আবেদনময়ী কন্ঠ: কন্ঠের ব্যাপারটা প্রকৃতপক্ষে হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। অধিকমাত্রার টেস্টোস্টেরণের প্রভাবে পুরুষের কন্ঠ ভারী হয়ে থাকে যা নারীদের বিশেষ আকর্ষণের কারণ। কন্ঠের কম্পাঙ্ক বেশি হলে তা আরো বেশি নারীসুলভ হয়ে থাকে যা পুরুষদের বেশি পছন্দ। নারী এবং পুরুষ উভয়ের কথায় শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা বেশি থাকলে তা অধিক আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। তাছাড়া নারীরা ভারী এবং মোটা কন্ঠবিশিষ্ট পুরুষদের বেশি পছন্দ করে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কাউকে না দেখে শুধুমাত্র তার কন্ঠ শুনেই আপনি তার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। তাছাড়া সুন্দর কন্ঠ এবং কথার স্পষ্টতা আকর্ষণের কারণ হতে পারে।

জীনগত মিল: জীনগত মিলের কারণে কিছু দম্পতির চেহারায় অনেক মিল থাকে। এটা হাস্যকর শোনালেও সত্য। অতীতে বিবাহগুলো একই বংশের মধ্যে সংঘটিত হতো, যার একটি সুদূরপ্রসারী প্রভাব দম্পতিগুলোর মধ্যে দেখা যেত। আসলে পরিচিত মানুষের সঙ্গ আমাদের জন্য বেশি উপাদেয়, তাছাড়া সন্তান-সন্ততির ক্ষেত্রে ব্যাপারটির উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি। জীনগত সামঞ্জস্যপূর্ণ মানুষগুলো অন্যান্যদের চেয়ে বেশি সুখী এবং আনন্দঘন দাম্পত্যজীবন উপভোগ করে থাকেন।

সাহায্যপ্রবণ আচরণ: শুধুমাত্র চেহারার সৌন্দর্য দিয়েই সবকিছু সম্ভব নয়। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব নারী-পুরুষের যৌন অনুরক্তির পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। সাহায্যপ্রবণ আচরণ, স্বাধীনচেতা মানসিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, সাহায্যপ্রবণ আচরণের ব্যাপারটা আমাদের পূর্বপুরুষের সময় থেকে চলে আসছে। আদিম যুগেও মানুষ তার সঙ্গীর মধ্যে এই ধরনের আচরণ খুঁজত। আসলে সাহায্যপ্রবণ আচরণের ফলেই মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, তাছাড়া কারো সঙ্গে দীর্ঘকালীন একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হতে যায় এমন মানসিকতার জন্য।

মস্তিষ্কের আচরণ: আসলে কাউকে ভাললাগা বা না লাগা আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কেউ বিরক্তিকর নাকি উপভোগ্য তা আমাদের মস্তিষ্ক বলে দেয় এবং সেই অনুযায়ী আমরা আচরণ করে থাকি। যদি কেউ বিরক্তিকর হয় তাহলে আমরা তার প্রতি আকৃষ্ট হইনা বরং এড়িয়ে যাই এবং আমাদের ভালোলাগার জায়গাগুলোর সাথে মিল পেলে আমরা সেই ব্যক্তিকে পছন্দ করি এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আমরা যেতে চাই। তাছাড়া সবার পছন্দের জায়গা একরকম নয় এবং এক্ষেত্রে সবার মস্তিষ্ক সমান আচরণ করেনা।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury