শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ইন্দোনেশিয়ার সুলাবেসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ৬.২ মাত্রার এই কম্পনে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত ছয় শতাধিক।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মাজেনে শহরের ছয় কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের পর অন্তত ১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
মাজেনের উত্তরে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছেন ডজনখানেক রোগী ও স্টাফরা। মুমুজু শহরের উদ্ধারকারী সংস্থার কর্মী আরিয়ান্তো বলেছেন, ‘হাসপাতাল পুরোপুরি ধসে গেছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক রোগী ও হাসপাতাল কর্মী চাপা পড়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
নিহতদের অন্তত ২৬ জন মুমুজু শহরের। বাকি ৮ জন পশ্চিম সুলাবেসির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে। এএফপিকে মুমুজুর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা আলী রহমানের আশঙ্কা, নিহতেরসংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অনেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে মারা গেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই সংস্থা জানিয়েছে, একটি হোটেল ও পশ্চিম সুলাবেসির একটি সরকারি কার্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে।
সাত সেকেন্ড স্থায়ী এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর পর আতঙ্কিত বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নেয়। শুরুতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থা বিএমকেজি পরে জানায়, আফটার শকের কারণে সুনামি হলেও হতে পারে। তাই ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের পূর্ব সতর্কতা অনুযায়ী উঁচু জায়গায় যেতে আহ্বান করা হয়েছে।
ঘণ্টাখানেক আগে একই জেলায় ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যাতে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল রিং অব ফায়ারে অবস্থিত।
২০১৮ সালে সুলাবেসির উত্তরে পালু শহরে ৬.২ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও পরবর্তীতে সৃষ্ট সুনামিতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।
/মহিদ