মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ইউনিয়নগুলো। ফলে গুরুত্বপূর্ণ শহর ইয়াঙ্গুনে বন্ধ রয়েছে দোকান, কারখানা, ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
জানা গেছে, ঝুঁকি উপেক্ষা করে ইয়াঙ্গুন ছাড়াও দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর মান্দালয়সহ বিভিন্ন শহরে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। মিয়ানমারের ট্রেড ইউনিয়নগুলো বলছে, অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীক কাজ চালু রাখলে শুধু সেনাবাহিনী উপকৃত হবে। এতে তারা জনগণের ওপর নিপীড়ন করার শক্তি পাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা যেন একত্রিত হতে না পারেন, সে জন্য ইয়াঙ্গুনে ফাঁকা গুলি ও তল্লাশি চালাচ্ছে আনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে মিয়ানমার জুড়ে ধর্মঘট ঠেকাতে হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দেশটির পুলিশ।
সোমবার থেকে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর ধর্মঘটে যোগ দেয়ার ঘোষণার পরপরই মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর এমন তৎপরতা শুরু হয়।
এর আগে রোববার রাত ৮টা থেকে কারফিউ শুরু হলে দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। হাসপাতাল এলাকাগুলোতেও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়েছে, ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। হাসপাতালের কর্মী ও অ্যাম্বুলেন্সেও পুলিশ হামলা করেছে। এ ছাড়া রোববার রাতভর বিক্ষোভকারীদের ধরতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করেছে পুলিশ।
এদিকে, মিয়ানমারে হতাহতের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে, দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।সোমবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিজ পেনি এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।