ছবি: সদ্যজাত সন্তানের সঙ্গে আনাতোলিয়া ভার্তাদেলা
তবে আনাতোলিয়া জানিয়েছেন, তুরস্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি তার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
তুরস্কে ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট বৈধ। কিন্তু যেখানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
তিনি বলেন, যারা আমার অস্ত্রোপচার করেছেন সেই চিকিৎসকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ৪৮ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি আর সন্তানের জন্ম দিতে পারিনি। মাঝে মাঝে ভাবতাম মাত্র ১৬টি সন্তানের জন্ম দেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তা আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আবারও আমি মা হতে পারলাম। ১৭তম সন্তান এল আমার কোলে।
তার চিকিৎসক আলেক্সান্দ্রো পোপোলিচি জানান, তিনি ফুটফুটে এক ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন। অবশ্যই এটা সৃষ্টিকর্তার উপহার। তুরস্কে এই অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ আইনি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই তার অস্ত্রোপচার করেছেন। এই বয়সেও তার স্বাস্থ্য বেশ ভালো। আশা করছি আরো বেশ কিছু বছর বেঁচে থাকবেন তিনি।
১৯৯৮ সালে আনাতোলিয়ার স্বামী মারা যান। ইন্টারনেটে শুক্রাণুদাতা খুঁজতে গিয়ে ২৬ বছরের এক ক্যাথলিক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এই বৃদ্ধার। এটাই তার কাছে যথেষ্ট ছিল। তিনি শুধু চেয়েছিলাম তার সন্তানকে যেন ক্যাথলিক চার্চ গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, তিনি তার সন্তান ফ্রান্সেস্কোর বাবাকে বিয়ে করেননি। তার সন্তানের জীবনেও ওই যুবকের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এই কথা তিনি পোপকে লিখে জানিয়েছিলাম। পোপের নামানুসারে সন্তানের নামও রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, পোপ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এখনও আমি আমার মৃত স্বামীকে ভালোবাসি। যত দিন বাঁচবো তার বিধবা হয়েই বাঁচতে চাই। সদ্যজাতকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন সবচেয়ে বয়স্ক ওই মা।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেছেন আনাতোলিয়া। এত দিন এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মালেগওয়ালে রামোকগোপা। ৯২ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ওই নারী। তার সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১০১ বছর বয়সী আনাতোলিয়া।
আমার নিউজ ডেস্ক,