চলতি বছর বিশ্বে একাধিক দুর্ভিক্ষের ‘প্রকৃত ঝুঁকি’ রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীদের বৈঠকে সংস্থাটির প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
তিনি খাদ্য বাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং পণ্যমূল্যের অস্থিরতা কমাতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বার্লিনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভিডিও বার্তায় গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা একটি নজিরবিহীন বৈশ্বিক ক্ষুধা সংকটের মুখোমুখি। ইউক্রেনের যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে তৈরি হওয়া সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করেছে : জলবায়ু পরিবর্তন; করোনা মহামারি; অত্যন্ত অসম পুনরুদ্ধার।’
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) নির্ধারণ করা মাত্রা সোমালিয়া, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানে চার লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে রয়েছে। এই মাত্রাটি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা ও সাহায্য গোষ্ঠীগুলো খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করে। একটি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ঘোষণার আগে পদক্ষেপ হচ্ছে এটি।
আইপিসি অনুসারে, আরও ৩৪টি দেশের লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে৷
গুতেরেস বলেছেন, ‘২০২২ সালে একাধিক দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার মতো বাস্তব পরিস্থিতি রয়েছে। ২০২৩ সাল আরও খারাপ হতে পারে।’
তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া বিশ্বব্যাপী গম রপ্তানির প্রায় ২৯ শতাংশ উৎপাদন করে। দেশ দুটির বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার উপায় খুঁজে না পেলে সঙ্কটের কোনও কার্যকর সমাধান হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের বন্দর থেকে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে, রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানি আবার শুরু করার জন্য পশ্চিমাদের কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় মস্কো।