নিউজ ডেস্ক:
খাদ্যমূল্যের যখন ঊর্ধ্বগতি চলছে তখন বিশ্বব্যাপী শস্য বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলো রেকর্ড পরিমাণ মুনাফা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের মুফার কারণে খাদ্যপণ্য দরিদ্রদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাদ্য শস্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের আকস্মিক মুনাফার কারণে তাদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্ব শস্য বাজারে কয়েক দশক ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে মাত্র চারটি প্রতিষ্ঠান। চলমান পরিস্থিতি বিশ্বে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাপক চাহিদা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সময়ে তাদের বিক্রির মাত্রা আরও বেশি হবে এবং মুনাফার অংকও বহুলাংশে বাড়বে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, চলতি বছর খাদ্যের দাম ২০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য মতে, প্রায় ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে। অথছ করোনা মহামারির আগে এই সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ২০ লাখ।
টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার আন্তর্জাতিক প্যানেল অব এক্সপার্টস এবং চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অলিভিয়ার ডি শুটার বলেছেন, ‘এটা সত্য যে বিশ্বব্যাপী পণ্য জায়ান্টরা এক সময়ে রেকর্ড মুনাফা করছে। যখন খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে তখন তা স্পষ্টতই অন্যায় এবং আমাদের খাদ্য ব্যবস্থায় এটি ভয়ঙ্কর অভিযোগ।’
আর্চার-ড্যানিয়েলস-মিডল্যান্ড কোম্পানি, বুঞ্জ, কারগিল এবং লুই ড্রেফাস নামের চারটি প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে এবিসিডি নামে পরিচিত। তারা বিশ্বব্যাপী শস্য বাণিজ্যের আনুমানিক ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
ডি শুটার৷ বলেন, ‘বিশ্বের শস্য বাজারগুলো জ্বালানির বাজারের তুলনায় আরও বেশি কেন্দ্রীভূথ এবং কম স্বচ্ছ, তাই মুনাফার একটি বিশাল ঝুঁকি রয়েছে এখানে।’
তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী প্রচুর পরিমাণে শস্যের মজুদ থাকা সত্ত্বেও চলতি বছর খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে, কিন্তু কোম্পানিগুলোর কাছে কতটা শস্য আছে তা দেখানোর ব্যাপারে পর্যাপ্ত স্বচ্ছতা ছিল না। সময়মতো তাদেরকে মজুদ ছেড়ে দিতে বাধ্য করার কোনো উপায়ও নেই।