স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী প্রচারনায় এগিয়ে আছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এনামুল হক রুবেল। বর্তমানে তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিলেও তার জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে।
নির্বাচনী প্রচারণাকে ঘিরে শহরে ও গঞ্জের মূল পয়েন্ট গুলোতে ঝুলছে রুবেল সমর্থিত নেতাকর্মীদের ছবি সংবলিত রঙ-বেরঙের পোস্টার, বিলবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন।
ঘোষণার পর পরই এনামুল হক রুবেলের প্রচারণায় মাঠে নেমেছে জেলার রাজনৈতিক , অরাজনৈতিক, মানবধিকার, সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাড়া পড়েছে সোনাতন ধর্মাবলম্বী, সংখ্যালঘু ও অবহেলিত মানুষের বড় অংশটিতে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এনামুল হক রুবেলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জনগণ ও নেতাকর্মীদের প্রবল উৎসাহ ও অনুরোধেই নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধ এ্যাড. গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক বীরমক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম পিপি মহোদয় সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মীরা আমাকে সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছে। দীর্ঘ দিন আমি তাদের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আশাবাদী ও বিস্বাসী আমার পাশে রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে তারা সব সময় পাশে থাকবেন।
এছাড়াও আমার রাজনৈতিক অভিভাকদের বড় অংশ ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, ত্যাগী নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরাও মাঠ গোছাতে কাজ করছে।
রুবেল আরো জানান, মানিকগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার ও গণপ্রজান্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ মালেক স্বপনের দিক নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কে একটি চকচকে ও ঝকঝকে মডেল উপজেলা হিসেবে রূপান্তরীত করতে চাই। আমি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এ অঞ্চলের সকল রাস্তা -ঘাট আমি চিনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের কারনে সকল গ্রামেই আমার যাওয়া আশা হয় নিয়মিত ।
এনামুল হক রুবেল তার রাজনৈতিক জীবনে জাগীর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলার সাধারন সম্পাদক ও সর্বশেষ জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেকলীগ নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিলেও তার অবস্থান এখন তৃণমূল নেতাদের মাঝে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে কর্মী বান্ধব ও জনপ্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি নানা ভাবে আলোচিত হয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক থাকা কালীন জেলা রাজনীতিতে আধুনিক ছাত্ররাজনীতি ও অরাজনৈতিক মহলেও বেশ সুনাম কামিয়েছেন তিনি। পাশে দাড়িয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে। বিভিন্ন সংগঠনের রেখেছেন সাধ্যনুযায়ী অবদান।
তিনি তার রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগত জীবনের মানুষের সেবা করেই কাটাতে চান বলেও রুবেল জানান।