স্টাফ রিপোর্টার :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে ক্যান্সার ও কিডনী হাসপাতাল এবং জেলা শহরে ২৫০ শষ্যা হাসপাতাল নির্মান করা হবে। দেশে এক কোটি লোক ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত ৪০ লক্ষ লোক জানেন না তাদের ডায়াবেটিক রোগ আছে। আমাদের কাজ হলো আপনাদের দেখাশুনা করা ও আপনাদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। মানুষের চাহিদা খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা তার থেকে বড় চাহিদা হলো চিকিৎসা সেবা । অসুস্থ্য থাকলে সেই জাতি উন্নয়ন করতে পারে না।
রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ হিজুলীতে ৫০ শয্যা ডায়াবেটিক হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক ও মানিকগঞ্জ ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি এস. এম ফেরদৌস এর সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জ ডায়েবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, ডায়বেটিক সমিতির সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, ডায়বেটেক সমিতির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, কোষাধ্যক্ষ বশির রেজা প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: লিয়াকত আলী ভান্ডারী,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ সভাপতি আব্দুস সালাম, সহ সভাপতি ও প্যানেল মেয়র আরশেদ আলী বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এনামুল হক রুবেল, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এম.এ সিফাত কোরাইশী সুমনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানিকগঞ্জ হিজুলীতে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগের তত্বাবধানে ১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে তিনতলা বিশিষ্ট ৫০ শয্যা ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মান করা হয়েছে। বর্তমানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ডায়াবেটিক হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ডে ১০ জন পুরুষ, ১০ নারী, ৩টি এসি ক্যাবিন ও ৪টি ননএসি ক্যাবিনে মোট ২৭ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল উদ্বোধন শেষে জরুরী বিভাগ ও আন্তঃবিভাগ সেবা কার্যক্রম ঘুরে দেখেণ এবং রোগীদের সাথে কথা বলেন।
উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় আমরা অনেক উন্নতি করেছি। বিএনপি জামাতের সময় আমাদের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছর এখন আমাদের গড় আয়ু ৭৩ বছর। এখনো দেশে অর্ধেক গর্ববতী নারীর সন্তান প্রসব হয় বাড়িতে। এতে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু বেশী হচ্ছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমিয়ে আনতে হলে গর্ববতী নারীদের হাসপাতালে প্রসবের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়েকেই বিয়ে না দেওয়ার জন্য তিনি অভিভাবকদের আহবান করেন।