এস.এম.আকরাম হোসেন:
বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মরণে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় মানিকগঞ্জ জেলা শহরের খালপাড় এলাকায় শহীদ রফিক মঞ্চে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচীশেষে, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শুভ ইয়েন খান, এম আর লিটন, মহিদুল ইসলাম ও ফজলে শাহীদ মনন এক যুক্ত বিবৃতিতে সন্ত্রাসী কর্তৃক আবরার ফাহাদের হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে বুয়েটের শিক্ষার্থী ও আবরার ফাহাদের সহপাঠীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করে।
তারা বলে, আবরার হত্যাকান্ড কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সন্ত্রাসীর ধারাবাহিক দমন-পীড়ন-সহিংসতার শিকার। স্বাধীন মত প্রকাশের সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল আবরারের। তাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মত প্রকাশ করতো। চলতি অক্টোবরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি বিষয়ে সে মতামত প্রকাশ করে। আর এই লেখার জের ধরেই ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার নেতা-কর্মীরা তার ওপর চড়াও হয়েছে এবং ডেকে নিয়ে পিটিয়েছে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। সারাদেশে একের পর এক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিযে চলছে।
তাদের দাবী আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সহ-সম্পাদক আশিকুর ইসলাম বিটু, ক্রীড়া সম্পাদক জিয়ন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাকিদ, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোসারফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শুধু সংগঠন থেকে বহিষ্কারের মতো ঠুনকো শাস্তি দিয়ে অপরাধীদের পুনর্বাসন পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না তারা। হত্যাকান্ড একটি ফৌজদারি অপরাধ। তাই আইনত সেই অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানিয়ে সকল চিন্তা ও মতের সহাবস্থানসহ মুক্তচিন্তার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তারা।