স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে এক ছাত্রকে পিটিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে বরুন্ডী তাজবিদুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে।
আহত ছাত্র মো. লাজিম মোল্লা (১২) বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সর্বনন্দপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী মোল্লার ছেলে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বদরুল আলম জানান, ওই শিশু তার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলা-ফুলা যখম নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে আসে। তার শারীরীক অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং
প্রয়োজনীয় ঔষুধ দেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি। আহত ওই ছাত্র জানায়, সে স্থানীয় বরুন্ডী সরকারী একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা পাশ করে। ছোট বেলা থেকেই তার আরবী নিয়ে পড়ার শখ থাকায় সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি না হয়ে জানুয়ারী মাসের ৩ তারিখে ভর্তি হয় ওই আবাসিক মাদ্রাসায়। সে ইতিমধ্যে ছিপাড়া পড়া শেষ করেছে। রবিবার তার কুরআন ধরার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার এশার নামাজের পর ওই শিক্ষক তাকে ছিপাড়া পড়া ধরেন। একটু ভুল হওয়ায় ওই শিক্ষক তাকে স্টীলের স্কেল দিয়ে পেটায়। কান্না করলে মুখ চেপে ধরে। চোখ দিয়ে পানি বের হওয়ায় আরো পেটায়। ঘটনার রাতশেষে ফজরের নামাজের সেজদা দেয়া অবস্থায় সে ওই মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় ফিরে আসে। ওই ছাত্রে মা লিপি আক্তার বলেন, তার ছেলে ছোটবেরা থেকেই আরবী শেখার ব্যাপারে আগ্রহী। সে গত এক বছর ধরে ইমামের অবর্তমানে নিজ গ্রামের মসজিদে আযান দেয় এবং নামাজ পড়ায়। মাদ্রাসায়ভির্তির আগ পর্যন্ত সে এই কাজটি করে। শিক্ষকের এই আচরণে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মতিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি তার কৃতকর্মের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন বলে জানান ওই ছাত্রের মা লিপি আক্তার। এই ধরণের শিক্ষকদের শিক্ষকতা পেশায় থাকা উচিৎ নয় উল্লেখ করে তিনি এর ঘটনার সুষ্ঠুবিচার দাব করেন। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।