আগামী বছর যাঁরা পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব যেতে চান কিন্তু নিবন্ধন করেননি, তাঁদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর সীমিত পরিসরে হজ পালিত হয়েছে। এতে শুধু সৌদিতে বসবাসরত মুসল্লিরা অংশ নিতে পেরেছেন। বাংলাদেশসহ বাইরের কোনো দেশ থেকে গিয়ে কেউ হজে অংশ নিতে পারেননি। এখন পর্যন্ত ওমরাহ হজের কার্যক্রমও শুরু হয়নি।
সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চলতি বছরের চুক্তি অনুযায়ী এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ পালনের কোটা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন। কিন্তু তাঁদের কেউই হজে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ায় সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, কেউ টাকা ফেরত নিতে চাইলে নিতে পারবেন। নিবন্ধিতদের মধ্যে অনেকেই তাঁদের টাকা ফেরত নিয়ে নিবন্ধন বাতিল করেছেন। বাকিরা আগামী বছর হজে যাওয়ার পরিকল্পনায় আছেন বলে হজ অফিস এবং এজেন্সিগুলো জানিয়েছে।
সূত্র মতে, বর্তমানে হজে যেতে আগ্রহী মোট ৬২ হাজার ৩১০ জনের চূড়ান্ত নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ১০৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৯ হাজার ২১০ জন।ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যেসব মুসল্লি টাকা ফেরত নেননি, তাঁরা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে হজে যাওয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন।
আর যাঁরা টাকা তুলে নিয়েছেন, তাঁদের হজে যেতে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি দ্রুতই উন্নতি হবে, আগামী বছর হজ পালনের সুযোগ পাওয়া যাবে—এই আশায় আবারও প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।