ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে এ বছর শুরুর দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে তিন স্থানীয় নাগরিক নিহত হন। ওই ঘটনায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে তারা। এক প্রতিবেদনে এই খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
তিন কাশ্মিরিকে হত্যায় বিতর্কিত সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইনের (এএফএসপিএ) অধীনে সেনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ১৮ জুলাই সোফিয়ানের আমশিপোরা গ্রামে ওই তিনজনকে হত্যার পর তাদের ‘জঙ্গি’ তকমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেনাদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, নিহত তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা রাজৌরি জেলার বাসিন্দা। কথিত বন্দুকযুদ্ধে তাদের হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল নিহতদের পরিবার।
কর্নেল রাজেশ কালিয়া বলেছেন, সেনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী অপারেশন আমশিপোরার তদন্ত শেষ হয়েছে। ওই দিন ১৯৯০ সালের এএফএসপিএ লংঘন করা হয়েছিল। তাদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
ওই দিনের বিবৃতিতে পুলিশ দাবি করেছিল, তল্লাশি অভিযানের সময় এক সেনা সদস্যও গুলিতে আহত হন। ঘটনার কয়েকদিন ওই নিহত তিন কাশ্মিরির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং তাদের পরিবার চিনতে পেরে মামলা দায়ের করে।
নিহত তিনজনের পরিবারের অভিযোগ, ১৮ জুলাই আমশিপোরার কাছে মহম্মদ ইমতিয়াজ (২৫), আবরার আহমেদ খান (২০) ও আবরার ইউসুফকে (১৭) কোনও অপরাধ ছাড়াই মেরেছে সেনারা। ঘটনার আগের রাতে তিনজনই তাদের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানিয়েছিলেন, তারা শোপিয়ানে পৌঁছে গেছেন। আপেল বাগানে কাজ করতেই তাদের শোপিয়ানে আসা। তিন জনকে মারার পর সেনার তরফে তাদের ‘জঙ্গি’ তকমা দেওয়া হয়।
২০১০ সালের মে মাসে পুলিশের একটি তদন্তে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিন কাশ্মিরিকে জঙ্গি তকমা দিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়ার পর বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে কাশ্মির। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, পদক বা পদোন্নতি পাওয়ার আশায় প্রায় সময় নিরীহ নাগরিকদের জঙ্গি তকমা দিয়ে হত্যা করে সেনাবাহিনী।